ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অবৈধভাবে কেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে : আব্দুল আজিজ

আমিনুল ই শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২৯ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবৈধভাবে কেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে : আব্দুল আজিজ

ছবির কোলাজ

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এখনো কাটেনি এর ধোঁয়াশা। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত রয়েছে এর নির্বাচন। এ নিয়ে খোরশেদ আলম খসরু ও আব্দুল আজিজ প্যানেলের চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। গত শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন খসরু প্যানেল। তারপর একই দিন বিকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আব্দুল আজিজ।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, নির্বাচনের তফসিল এবং চারজন প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। মহামান্য হাইকোর্ট এই রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে যে আদেশ প্রদান করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন ২০১৬-২০১৮ স্থগিত করেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ সরকারের টি. ও. রুলের বিধি মোতাবেক যে চারজন প্রার্থীকে অবৈধ বলে রিট  পিটিশনে  উল্লেখ করেছেন, তা যথাযথ বলেই আমরা মনে করি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ইতেপূর্বে ২০১৪-২০১৬ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি গঠিত নির্বাচন বোর্ড যে তফসিল ঘোষণা করেছিলেন তা এই একই কারণে স্থগিত হয়ে যায়।’

টি. ও. রুলে উল্লেখিত বিধি মোতাবেক এই চারজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ নয়। এই চারজন অবৈধ প্রার্থী হলেন- মনতাজুর রহমান আকবর, শরীফ উদ্দিন খান দীপু, সামসুল আলম ও খোরশেদ আলম খসরু। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান ঘটুক। গোটা চলচ্চিত্র শিল্পকে সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আজিজ।

আশা ব্যক্ত করে আজিজ আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা বরাবরই একটি সমঝোতার পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।  এবারের নির্বাচনে উল্লেখিত চারজন প্রার্থী ছাড়াও ৩৯ জন প্রার্থী ছিলেন, যারা টি. ও. রুলের বিধি মোতাবেক সম্পূর্ণ বৈধ। সম্মানিত সদস্যরা এই প্রার্থীদের ভোট দিবেন। সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত ১৯ জন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য হবেন। এই ১৯ জন প্রার্থী অফিস বেয়ারার পদে মনোনয়ন নিয়ে ভোটের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করবেন। সহযোগী সদস্যদের মধ্য থেকে আরও দুইজন কার্য নির্বাহী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।’

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদের জন্য দ্বিগুনেরও বেশী প্রার্থী ছিল, যাদের যোগ্যতা এবং বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেনি। তা হলে মাত্র চারজন প্রার্থী যারা টি. ও. রুলের বিধি অনুযায়ী বৈধ নন, তাদের জন্য কেন বার বার নির্বাচন স্থগিত হবে? চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে বিরাজমান থাকবে জটিলতা, বিপর্যস্ত হবে সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্প। ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে যে কোনো ১৯ জন নির্বাচিত হয়ে সহজেই যে জটিলতার অবসান ঘটাতে পারতেন, সেটা মাত্র চারজন প্রার্থীর জন্য বার বার বিঘ্নিত হবে কেন?’

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বৈধতা নেই জেনেও উক্ত চারজন কেন নানা কৌশলে, নানান প্রভাবে বার বার নির্বাচনে প্রার্থী হবেন? অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও কেন তাদেরকেই বার বার অবৈধভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হতেই হবে? সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নও রাখেন আজিজ।

 

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৬/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়