ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আজ যদি হিমু থাকতো || মুম রহমান

মুম রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৬ আগস্ট ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আজ যদি হিমু থাকতো || মুম রহমান

অলংকরণ : অপূর্ব খন্দকার

পাঠকপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের আলোচিত চরিত্র হিমু। মুম রহমানের কলমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে হিমুকে নিয়ে তার বিশ্লেষণধর্মী রচনা। আজ প্রকাশিত হলো এর দ্বিতীয় কিস্তি    

 

থানা-পুলিশ-প্রশাসন

হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাস ‘ময়ুরাক্ষী’তে লক্ষ্য করি থানার ওসি’র ঘুষ খাওয়ার বিষয়টি হিমু তুলে ধরে এভাবে:

‘থানার ওসি সাহেবের চেহারা বেশ ভালো। মেজাজও ভালো। চেইন স্মোকার। ক্রমাগত বেনসন অ্যান্ড হেজেস টেনে যাচ্ছে। বাজারে এখন সত্তর টাকা করে প্যাকেট যাচ্ছে। দিনে তিন প্যাকেট করে হলে মাসে কত হয়? দুশোদশ গুণণ তিরিশ। ছ-হাজার তিনশ। একজন ওসি সাহেব বেতন পান কত, এক ফাঁকে জেনে নিতে হবে।’

 

এই অংশে হিমুর সামাজিক দায়বদ্ধতা সুপ্রকট। সে একজন ঘুষখোর ওসির চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন খুবই সরল অংকের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পুলিশের ঘুষ খাওয়ার বিষয়টি এখানে তীব্র শ্লেষের সঙ্গে উঠে এসেছে। সমকালের অনেক ওসি’র জন্যই হিমুর এই প্রশ্নবাণ বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ এবং সমাজের ভেতরে থেকে সমাজের সব কাঠামো ও রীতি মেনে চলি তাদের কাছে একজন ওসির বেনসন সিগারেট খাওয়াটা গা সওয়া হয়ে গেছে। চাই কি তার সঙ্গে বেনসন পানের সঙ্গিও হতে পারি। কিন্তু হিমু প্রথা-ভাঙা তরুণ বলেই হাসতে হাসতেই ঘুষ আর দুর্নীতির চিত্রটি তুলে ধরে অবলীলায়। হিমুর মুখে এইসব প্রশ্ন বা মন্তব্য কখনোই বেমানান ঠেকে না। কেননা, সে কারো ধার ধারে না।

 

হিমু যেহেতু রাত-বিরাতে পথে ঘাটে ঘোরে এবং মাতাল-চোর-সন্ত্রাসী অনেকের সখ্য হয়, সেহেতু ঘটনাক্রমে পুলিশের সঙ্গে তার নিত্য যোগাযোগ হয়। হিমু সিরিজের একাধিক উপন্যাসে আমরা হিমুকে দেখি পুলিশের মুখোমুখি হতে। কোন কোন সাক্ষাৎ অম্ল, কোনটি মধুর। হিমু চরিত্রের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশ পুলিশের ঘুষখোর চরিত্রটি তুলে ধরেছেন এটা ভাবা ভুল হবে।

‘হিমু এবং একটি রাশিয়া পরী’ উপন্যাসে ওসি আবুল কালামকে একটি কৌতুক বলে হিমু হাসায়। হিমুর ধারণা আসল পুলিশের লোকেরা কৌতুক শুনে হাসে না। হিমু বলে, ‘ভাই আপনি তো ভেজাল পুলিশ অফিসার!’

ওসি সাহেব বললেন, ‘আমি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল পাওয়া অফিসার। এখন পর্যন্ত এক টাকা ঘুষ খাই নি।’

‘এই জন্যই তো আপনি ভেজাল।’

 

এই উপন্যাস ছাড়া একাধিক উপন্যাসে হিমুকে আমরা দেখি পুলিশের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে উঠতে। এদের অনেকেই সৎ অফিসার, কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তা হিমু দ্বারা প্রভাবিত হয়। ‘হিমুর নীল জোছনা’ উপন্যাসে ওসি নাজমুল হুদা ইংরেজি সাহিত্যে এমফিল করেছেন, তার ইচ্ছা ছিলো মনোবিজ্ঞানে পড়ার। ‘হিমু এবং একটি রাশিয়া পরী’ উপন্যাসের ওসি আবুল কালামও ইংরেজিতে এমএ, তাকে দেখলে অধ্যাপক মনে হয়। ‘হিমুর নীল জোছনা’ উপন্যাসে দেখি ওসিকে হারিয়ে যাওয়া দুই বোন মামা বলে ডাকছে।

‘খেয়া বলল, পুলিশ মামা গল্প বলো।’

ওসি সাহেব গল্প শুরু করলেন। ঠাকুরমা’র ঝুলির ডালিম কুমারের গল্প। কনস্টেবলরা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। একজন দু’জন করে ঘরে ঢুকছে।

 

বাংলাদেশের থানাগুলোতে অনেক কিছুই হয়, রূপকথার আসর কখনো বসে না। এখানে ওসির মানবিক হৃদয় যেমন উঠে আসে, তেমনি পুলিশের শাশ্বত দিকটিও এ উপন্যাসে প্রখর। হিমু যখন পত্রিকায় পড়ে ওসি নাজমুল হুদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তখন মন খারাপ করে। তখন ওসি তাকে বলে, ‘আমরা পুলিশরা হচ্ছি কাকের মতো। কাকের মাংস কাক খায় না। পুলিশের মাংস পুলিশ খায় না। সাংবাদিকদের ঠাণ্ডা রাখার জন্যে বলা হয়- সাময়িক বরখাস্ত। এক থানার ওসি ক্লোজ হলে অন্য থানায় তাকে ওপেন করা হয়। এখন কি পরিস্কার?’

সমকালের অনেক ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর পুলিশের এই স্ট্র্যাটেজি আজ পরিস্কার।

 

‘হিমুর নীল জোছনা’ উপন্যাসে টকশোতে নেহাতই ভুলের বশে একজন রবীন্দ্রনাথের বেশে ঢুকে যায়। সেই নিয়ে যে সব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাতে আমাদের মিডিয়া, মন্ত্রণালয়ের চরিত্র ফুটে ওঠে। সেখানে বলঅ হচ্ছে : ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, কথিত রবীন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অনেক রাঘব বোয়াল ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।

এই প্রতিবেদক কথিত রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানেন পুলিশের কাস্টডিতে এমন কেউ নেই। ওসিকে সাময়িকভাবে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, পুলিশের দিক থেকে কোনো অবেহেলা হয়ে থাকলে দায়ী ব্যক্তি কঠোর শাস্তি পাবে।’

দায়ী ব্যক্তির এই শাস্তির অঙ্গীকার পুলিশের এক ধ্রুপদী কৌশল। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পুলিশি চক্রের কথা যে কোন দিনের খবরের কাগজ উল্টালেই চোখে পড়ে না কি!

 

‘হিমুর নীল জোছনা’ উপন্যাসে ওসি রবীন্দ্রনাথ সাজা ছামাদকে ছেড়ে দিলে সে ওসিকে কদমবুসি করতে গেলে নাজমুল বলে, ‘কদমবুসি করতে হবে না। চলে যা। আর শোন তুই তুই করে বলেছি বলে কিছু মনে নিবি না। পুলিশে চাকরির কারণে ভদ্রতা গেছে। অথচ এই আমি একসময় এমফিল করেছি রবার্ট ফ্রস্টের উপর।

Woods are lovely dark and deep

And I have promised to keep

And Miles to go before I sleep.’

 

হুমায়ূন ও হিমু প্রথা-ভাঙার দলের লোক বলেই পুলিশের মুখেও রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা শুনিয়ে দেন। হিমু আসলে পুলিশ বা প্রশাসনকে অস্বীকার করে না, বরং তার দুর্বলতা এবং সবলতার দিক তুলে ধরে। সমাজের আয়নার মতোই কাজ করে হিমুর বিশ্লেষণ।

 

হিমুর রাজনীতি

বাংলাদেশের মানুষ প্রবলভাবেই রাজনৈতিক সচেতন। এক সময় আমাদের মহল্লার হোটেলে কিংবা চায়ের দোকানে লেখা থাকতো, ‘রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ’। তার মানে রাজনৈতিক আলোচনার প্রচলন ছিলো। আমরা সবাই রাজনীতি বুঝি। এ দেশের প্রতিটি মানুষই কম-বেশি কোনো না কোনো দলের সমর্থক। ডান-বাম, উদার-গোড়া- সকল দলেরই সমর্থক আছে। অতি আধুনিকদের কেউ কেউ আবার ফেইসবুকে লিখে রাখেন ‘আমি রাজনীতি ঘৃণা করি।’ এটাও একটি রাজনৈতিক অবস্থান।

 

তুলনায় হিমুর রাজনৈতিক অবস্থান বেশ স্বচ্ছ। হিমুকে ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে হয় না। যেহেতু জাগতিক কোনো কিছুরই মূল্য হিমুর কাছে নেই, সেহেতু অনাচার-অন্যায় নিয়ে সে অনায়াসে জাগলিং করতে পারে। হিমু অবলীলায় এবং নির্মোহভাবে সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির সমালোচনা করার সৎ সাহস রাখে। হিমুর হাত থেকে তাই অতি ক্ষমতাধর রাজনৈতিক সমাজও ছাড় পায় না। হিমু অবলীলায় বলে, ‘কিছু কিছু লোক মন্ত্রী কপাল নিয়ে জন্মায়। জিয়া, এরশাদ যেই থাকুক- এরা মন্ত্রী হবেই। জহিরের বাবা এরকম ভাগ্যবান একজন মানুষ।’

 

‘দরজার ওপাশে’ উপন্যাসের এই উদ্ধৃতির মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সময় সময় দল-পাল্টানোর বিষয়টি উঠে আসে। আমাদের মন্ত্রীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণাও এ উপন্যাসের রফিকের মন্তব্যের মাধ্যমে ফুটে ওঠে : ‘তুই কোনো মন্ত্রী চিনিস না, তাই না? চেনার অবশ্য কথা না। ভালো মানুষদের সঙ্গে মন্ত্রীর পরিচয় থাকে না। বদগুলির সঙ্গে থাকে।’

 

সমকালের রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্রের দলিল হয়ে থাকবে হিমু সিরিজের একাধিক উপন্যাস। হিমুর কোনো দল নেই। তাই তার কাছ থেকে কেউ রেহাই পায় না। আমাদের জনবিচ্ছিন্ন দুই প্রধান রাজনৈতিক দল নিয়ে হিমু অবলীলায় বলে, ‘আমার ধারণা নিম্নশ্রেণীর পশুপাখী মানুষের কথা বোঝে। অতি উচ্চ শ্রেণীর প্রাণী মানুষই শুধু একে অন্যের কথা বোঝে না। বেগম খালেদা জিয়া কী বলছেন তা শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেন না। আবার শেখ হাসিনা কী বলছেন তা বেগম খালেদা জিয়া বুঝতে পারছেন না। আমরা দেশের মানুষ কী বলছি সেটা আবার তারা বুঝতে পারছেন না। তারা কী বলছেন তাও আমাদের কাছে পরিষ্কার না।’

 

‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম’ উপন্যাসের এই সংলাপ যেন মনে করিয়ে দেয়, লাল টেলিফোনের যোগাযোগহীনতার গল্প। রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার সবচেয়ে বড় পরিচয় ধারাবাহিক হরতাল। উন্নয়নশীল এই রাষ্ট্রের জন্যে টানা হরতাল কতো লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি করে সে হিসাব সত্যিই ভয়াবহ। কিন্তু এই নিয়ে যেন কারো কোনো বিকার নেই, একমাত্র হিমুই বিকারগ্রস্তের মতো একই উপন্যাসে প্রশ্ন করে-‘আজ হরতালের কতদিন চলছে? মনে হচ্ছে সবাই দিন-তারিখের হিসেব রাখা ভুলে গেছে। নগরীর জন্ডিস হয়েছে। নগরী পড়ে আছে ঝিম মেরে। এ রোগের চিকিৎসা নেই। বিশ্রামই একমাত্র চিকিৎসা। নগরী বিশ্রাম নিচ্ছে।’

 

অসুস্থ এই ঢাকা নগরীর আরোগ্য নিয়ে হিমুর মনে যে সন্দেহ দেখা দেয় তা যেন পাঠকের মনেও ছড়িয়ে পড়ে-‘এখনকার অবস্থা সে রকম না, এখন অন্য রকম পরিবেশ। জন্ডিসে আক্রান্ত নগরী রোগ সামলে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে তো- এটাই সবার জিজ্ঞাসা। নাকি নগরীর মৃত্যু হবে? মানুষের মতো নগরীরও মৃত্যু হয়।’

 

সমকালীন রাজনীতির চিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম’ উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে একটি দলিল হয়ে থাকবে বলে মনে করি। চলতি রাজনীতির জগতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই উপন্যাসে হিমু এ প্রসঙ্গে বলছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাশ হয়েছে। খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেছেন। দুই দলের মর্যাদা বহাল আছে। দু’দলই দাবি করেছে তারা জিতেছে। দু’দলই বিজয় মিছিল বের করেছে- সব খেলায় একজন জয়ী হন, অন্যজন পরাজিত হন। রাজনীতির খেলাতেই শুধুমাত্র দুটি দল একসঙ্গে জয়ী হতে পারে। অথবা একসঙ্গে পরাজিত হয়। রাজনীতির খেলা বড়ই মজাদার খেলা। এই খেলায় অংশগ্রহণ তেমন আনন্দের না। দূর থেকে দেখায় আনন্দ আছে।’

 

‘হলুদ হিমু কালো র‌্যাব’ উপন্যাসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবার তন্ত্রের বিষয়টি সমালোচিত হয়। ডেমোক্রেটিক ক্যাপসুলের আড়ালে আমাদের রাজনীতি যে অলিগার্কি পদ্ধতিতে চলছে হিমুর চোখেই তা ধরা পড়ে। এ উপন্যাসে দেখি হিমু খবরের কাগজ পড়তে গিয়ে মন্তব্য করে, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার পুত্র জয়ের আগমন। ইন্টারেস্টিং খবর তো বটেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান রাজনীতি করবেন, আর শেখ হাসিনা চুপ করে বসে থাকবেন তা হবে না। এবার হবে পুত্রে পুত্রে লড়াই। আমরা নিরীহ দেশবাসী মজা করে দেখব।’

 

তবে হিমু কখনোই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একচেটিয়া কথা বলেনি। এমনকি রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীন সমস্যাও তাকে ভাবিয়েছে। ‘হিমুর নীল জোছনা’ উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কংকন ভাইকে হিমু বলে, ‘বঙ্গবন্ধু যখন সপরিবারে নিহত হলেন তখন কিন্তু আপনার ছাত্রলীগ টুঁ শব্দ করে নাই। মিটিং মিছিল দূরের কথা।’

‘সেই সময়ের ছাত্রলীগ কী করছে তার দায়িত্ব তো আমাদের না।’

হিমু বলে, ‘আচ্ছা এই সময়ের ছাত্রলীগের কথাই হোক। তত্তাবধায়ক সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে অ্যারেস্ট করে জেলে ঢোকানো হলো। তখনো কিন্তু আপনারা টুঁ শব্দ করেন নি। মিটিং না, মিছিল না। আজ অন্যের বাড়ি দখল করে গবেষণা কেন্দ্র খুলে বসেছেন।’

বাংলা সাহিত্যে হিমুই একমাত্র তরুণ যে এইসব প্রশ্ন ও বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। (চলবে)

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ আগস্ট ২০১৬/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়