ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের উল্লাস

ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ যখন অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ওয়ানডে খেলেছিল, ম্যাচ শেষে ডি ভিলিয়ার্স-ডুমিনিরা মাঠ ছেড়েছিলেন চোখে জল নিয়ে। ২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ওই ম্যাচে যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই বছর পর সেই ইডেন পার্কে আজ যখন অারেকটি ওয়ানডে ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ছিলেন, ডি ভিলিয়ার্সদের মুখে চওড়া হাসি।

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সঙ্গে যদিও এই ম্যাচের তুলনা চলে না। তারপরও নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারানোটা কম কিসে! শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৬ উইকেটের জয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ নিয়ে টানা সাতটি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাশাপাশি আগের ম্যাচে পুনরুদ্ধার করা ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও ধরে রাখল প্রোটিয়ারা।

প্রথম চার ম্যাচ শেষে সিরিজে ছিল ২-২ সমতা। আজ শেষ ম্যাচটি ছিল তাই সিরিজ নির্ধারণী। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নিজেদের সর্বনিম্ন ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা যদিও ভালো হয়নি। দলের ৬ রানেই ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। ৪৮ রানের মধ্যে ফেরেন হাশিম আমলা এবং জেপি ডুমিনিও। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনজনের কেউই।

চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ডি ভিলিয়ার্স ও ফাফ ডু প্লেসি। অধিনায়ক ২৩ রান করে ফিরলেও পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৬২ রানের অবিচ্ছিন জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডু প্লেসি। তখনো বাকি ১০৬ বল! ৯০ বলে ৬ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ডু প্লেসি। ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার।

এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের ১৭ রানেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মার্টিন গাপটিলকে হারায় নিউজিল্যান্ড। কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হওয়ার আগে গাপটিল করেন ১৬ বলে ৪ রান। একটা পর্যায়ে ৭২ রানেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ওপরের দিকের পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল ডিন ব্রনলি (২৪)।

দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন জিমি নিশামও। সপ্তম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন মিচেল স্যান্টনার ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর দ্রুতই বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১.১ ওভারে ১৪৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৫০, ১৯৯৪ সালে পার্থে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে গ্র্যান্ডহোম করেন সর্বোচ্চ ৩২ রান। স্যান্টনার করেন ২৪ রান।

২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার রাবাদা। তবে রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন স্পিনার ইমরান তাহির। ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইকোনমি রেট ১.৪০! যেটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো স্পিনারের সেরা ইকোনমি। পেস-স্পিন মিলিয়ে হ্যানসি ক্রোনিয়ের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ সেরা। ওপরের দিনটি স্থানই পেসার শন পোলকের।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়