ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আবাহনী ও শেখ জামালের কষ্টার্জিত জয়

আমিনুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২৭ এপ্রিল ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আবাহনী ও শেখ জামালের কষ্টার্জিত জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল ও শেখ জামাল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে আবাহনী লিমিটেড ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শেখ জামাল ১-০ গোলে শেখ রাসেলকে হারিয়েছে। একই ব্যবধানে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে আবাহনী।

 

আবাহনী তাদের আগের ম্যাচে শেখ রাসেলের কাছে হার মেনেছিল। অবশ্য আজ ব্রাদার্সকে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। তবে জয়টি এত সহজে ধরা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনীর পক্ষে ম্যাচের ২১ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাবর ডেমিয়েন। খেলার প্রথমার্ধে স্কোরলাইন ছিল ১-০। ৬ ম্যাচে এটা আবাহনীর চতুর্থ জয়। পয়েন্ট ১৩। মুক্তিযোদ্ধাকে টপকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এল তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা ব্রাদার্সের দ্বিতীয় হার, পয়েন্ট ১০। অবস্থান আগের মতোই চতুর্থ।

 

এদিকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেডের জয়রথ অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের প্রথম ম্যাচে নিজেদের টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল। তবে জেতার জন্য বিস্তর ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। খেলার প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেননি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে জামালের পক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। ৬ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি অক্ষুণœ রেখেছে জামাল। পয়েন্ট ১৮। পক্ষান্তরে ৫ ম্যাচে এটা রাসেলের দ্বিতীয় হার, পয়েন্ট ৯। এই ম্যাচে লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরেন রাসেলের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। কিন্তু তাতেও রাসেলের জয় আসেনি।

 

চলমান প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সোমবারের শেখ রাসেল বনাম শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচটি। কেননা জাতীয় দলের অধিকাংশই খেলোয়াড় খেলেন এই দুই দলে। এটি লিগে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। ম্যাচের শুরু থেকেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই দল। তবে শুরুতেই বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ‘অল ব্লুজ’ খ্যাত রাসেল। প্রথমার্ধে তুলনামূলকভাবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল তারাই। ১১ মিনিটে রাসেলের অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরীর হেডটি জামালের গোলবার ছুঁয়ে যায়। আর ১৮ মিনিটে রাসেলের উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের বাড়িয়ে দেওয়া বলে সতীর্থ ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলির শট জামালের গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

 

আর ২৩ মিনিটে শেখ জামালের ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে ফ্রি কিক রাসেলের রক্ষণভাগে ফাঁটল ধরাতে ব্যর্থ হয়। ২৬ মিনিটে জাহিদ হোসেনের কাছ থেকে বল পান এমিলি। কিন্তু এবারও মিস, এমিলির আলতো টোকা দেওয়া বলটি বারে লেগে ফিরে আসে। ২৩ মিনিটে সুযোগ এসেছিল জামালেরও। বক্সের খুব কাছেই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের ফ্রি কিকের বল বক্সে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জামালের একাধিক খেলোয়াড়। ২৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে জাহিদের মাইনাসে বক্সে বল পেয়ে এমিলি শট নিলেও বল পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। ২৯ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে জামালের ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের শট শেখ রাসেলের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন প্রতিহত করেন। ৩৯ মিনিটে ডার্বোয়েকে বক্সের বাইরে থেকে ওয়েডসন পাস দিলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তিনি। ৪৩ মিনিটে রাসেলের ক্যামেরুনিয়ান ফরোয়ার্ড পল এমিলের দুর্বল শট লুফে নেন জামালের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম।

 

৫৬ মিনিটে জামালের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ লিংকনের কর্নারে রাসেলের বক্সে বল পেয়ে হেড করেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। বল আশ্রয় নেয় রাসেলের জালে (১-০)। ৬৭ মিনিটে ল্যান্ডিংয়ের মাইনাস থেকে বল পেয়ে শট নেন বদলি মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু। কিন্তু রাজুর বল পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৮৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে করা জাহিদের ফ্রি কিক খুব সহজেই গ্রিপে নেন জামালের গোলরক্ষক। ৮৫ মিনিটে রাসেলের লেফট ব্যাক আতিকুর রহমান মিশুর ফ্রি কিক জামালের বক্সে জটলার মধ্য থেকে হেড দিয়ে সরিয়ে রাসেলকে গোলবঞ্চিত করেন ডিফেন্ডার লিংকন। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাসেলের জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড আকিম সাইদের শট ক্রসবার ছুঁয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টাতেও সমতায় ফিরতে পারেনি ২০১২-১৩ লীগের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল। ফলে ১-০ গোলের জয় ও পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দ নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে মারুফুল হকের শিষ্যরা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৫/আমিনুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়