ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইউরোপে যেসব হামলা প্রাণ কেড়েছে

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২০ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইউরোপে যেসব হামলা প্রাণ কেড়েছে

বৃহস্পতিবার বার্সেলোনায় গাড়ি হামলায় নিহত হন ১৩ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্পেনে গত সপ্তাহে দুই দফায় ভয়াবহ গাড়ি হামলা ইউরোপ মহাদেশে সবশেষ রক্তক্ষয়ী ও প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ নিয়ে গত বছরজুড়ে যেসব হামলায় প্রাণহানি হয়েছে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।

১৭ আগস্ট, ২০১৭ : বার্সেলোনা, স্পেন
বার্সেলোনার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা লা রামব্লায় লোকজনের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিলে নিহত হন ১৪ জন।

১৯ জুন ২০১৭ : লন্ডন, যুক্তরাজ্য
ফিন্সবুরি পার্ক এলাকায় দুটি মসজিদের কাছে পথচারীদের ওপর গাড়ি  উঠিয়ে দেওয়ায় এক জন নিহত হন। ব্রিটিশ তদন্তকারীদের ভাষ্য, গাড়িচালক উগ্র রাজনৈতিক মতাদর্শী এবং মুসলিমবিদ্বেষী ব্যক্তি ছিলেন।

৩ জুন ২০১৭ : লন্ডন, যুক্তরাজ্য
লন্ডন ব্রিজের ওপর পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার পর তিন হামলকারী ছুরি নিয়ে লোকজনের ওপর আঘাত করতে থাকেন। এ ঘটনায় আট জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পুলিশের গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হন। এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।

২২ মে ২০১৭ : ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্য
ম্যানচেস্টার শহরে মার্কিন পপ স্টার আনিয়ানা গ্রান্দের সংগীতানুষ্ঠানে বোমা হামলায় শিশুসহ নিহত হন ২২ জন। এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।

৭ এপ্রিল ২০১৭ : স্টকহোম, সুইডেন
স্টকহোমের প্রাণকেন্দ্রে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বাইরে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ায় ১১ বছরের বালিকাসহ নিহত হন পাঁচ জন। যুক্তরাজ্য ভিসা প্রত্যাখ্যান করায় উজবেকিস্তানের এক নাগরিক এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ।

৩ এপ্রিল ২০১৭ : সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া
রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে পাতাল ট্রেনে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন পাঁচ জন। আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার। কিরগিজস্তানে জন্মগ্রহণকারী রাশিয়ার নাগরিক এ হামলা চালান।

২২ মার্চ ২০১৭ : লন্ডন, যুক্তরাজ্য
ওয়েস্টমিন্সটার ব্রিজে এক ব্যক্তি পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ায় এবং এরপর পার্লামেন্টের বাইরে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করায় মোট পাঁচ জন নিহত হন। পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী।

১ জানুয়ারি ২০১৭ : ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
নববর্ষের অনুষ্ঠান চলার সময় এক বন্দুকধারী রেইনা নাইটক্লাবে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পুলিশের কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনকে হত্যা করে। নিহতদের অধিকাংশ ছিলেন আরব। এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।

১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ : বার্লিন, জার্মানি
এক হামলাকারী একটি গাড়ি ছিনতাই করে বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে লোকজনের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়ায় নিহত হন ১২ জন। হামলাকারী পালিয়ে যাওয়ার চার দিন পর ইতালির মিলানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস।

২৬ জুলাই ২০১৬ : নরম্যান্ডি, ফ্রান্স
নরম্যান্ডির একটি গির্জায় দুই হামলাকারী কয়েকজন প্রার্থনাকারীকে জিম্মি করে এবং ছুরির আঘাতে একজন যাজককে হত্যা করে। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তারা।

২২ জুলাই ২০১৬ : মিউনিখ, জার্মানি
মিউনিখের একটি শপিংমলে ও রেস্তোরাঁয় এক হামলাকারী এলোপাতাড়ি গুলি চালালে নয় জন নিহত হন এবং পরে নিজেকে শেষ করেন। জার্মান-ইরানি বংশোদ্ভূত এই ব্যক্তি গণহত্যাপ্রবণ ছিলেন।

১৪ জুলাই ২০১৬ : নিস, ফ্রান্স
নিস অবকাশকেন্দ্রে এক হামলাকারী লোকজনের ভিড়ে ট্রাক চালিয়ে দিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী। এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।

২২ মার্চ ২০১৬ : ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও মায়েলবেক স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন ৩২ জন। এ হামলারও দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৭/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়