ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২৮ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে। কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় ব্যবহার করলে সেই জমির উর্বরতা হারায়। দীর্ঘদিন এ জমিতে কোন ফসল উৎপন্ন হয় না। বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ অবস্থা বজায় রাখতে ইট তৈরিতে কৃষিজমির মাটি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে অনুষ্ঠিত প্রোমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল ইনসেপশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), অক্সফাম বাংলাদেশ, বেলা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘ইট তৈরিতে বিকল্প প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে। নদীর তলদেশ খনন করে বালি মিশ্রিত যে মাটি পাওয়া যায়, তা দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে ইট তৈরি করা যায়। দেশে অকৃষি জমির পরিমাণ মাত্র ২৭ ভাগ। দেশের বিপুল জনসংখ্যার আবাসন চাহিদা পুরণের জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণের হার বেড়ে গেছে। সেখানে প্রচুর ইট ব্যবহার হচ্ছে। এর বিকল্প হিসেবে এইচবিআরআই ফেরোসিমেন্ট উদ্ভাবন করেছে। এ ফেরোসিমেন্ট দিয়ে দোতলা ভবন সহজেই নির্মাণ করা যায়। গ্রামে ইটের দেয়াল দিয়ে টিনসেডের যেসব বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে, সেখানে ফেরোসিমেন্ট ব্যবহার করলে ব্যয় কমবে।

তিনি বলেন, ‘উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় যে ১০০টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানে ইট ব্যবহার করা হবে না। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পেও ফেরোসিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইটের বিকল্প হিসেবে ফেরোসিমেন্ট ব্যবহারকে সরকার উৎসাহিত করছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর ইটের চাহিদা প্রায় ১৫শত কোটি পিস। এজন্য ১২৭ কোটি টন মাটির প্রয়োজন হয়। নগরায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে প্রতিবছর দুই থেকে তিনভাগ হারে ইটের চাহিদা বাড়ছে।

এইচবিআরআই-এর পরিচালক আবু সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের হেড অব ইউনিট মারিও রনকোনি, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রোগ্রাম) হাসান আরিফ ও অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল ভি সোনেজি।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রকৌশলীগণ অংশ নেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জুলাই ২০১৬/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়