ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইতালির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইতালির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত জায়গা উল্লেখ করে ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একই সঙ্গে ইতালির পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

ইতালির মিলানে এক্সপো মিলানো-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ আহ্বান জানান। এক্সপো মিলানোতে বাংলাদেশের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এবং সামাজিক খাতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন বিশে^র মধ্যে মডেল। আগামী ২০২১ সালে দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ^দরবারে আত্মপ্রকাশ করবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এজন্য সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী রপ্তানি পণ্য এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

মন্ত্রী বলেন,  দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য  লাভজনক স্থান। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে এখন কমমূল্যে দক্ষ শ্রমশক্তি পাওয়া যায়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে।

 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইতালি বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। ইতালি বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। অস্ত্রছাড়া সব পণ্য বাংলাদেশ ইতালিতে রপ্তানি করে আসছে। ইতালির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা প্রচুর। গতবছর বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে ১৭৪৭ দশামিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য করেছে। বাংলাদেশ ইতালিতে রপ্তানি করেছে ১৩৮২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৩৬৫ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সময় শূন্য হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ, খাদ্যের কোন অভাব নেই। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন বিদেশে চাউল রপ্তানি করছে।

 

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬৮টি দেশে ২৫টি পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ গত বছর ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পন্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩১ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ এখন ছয় শতাংশের ওপরে। রপ্তানির গ্রোথ গত ১৫ বছরে গড়ে ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি এখন আর তৈরী পোশাক আর চিংড়ি রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশ এখন পাট-পাটজাত পণ্য, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক সমাগ্রী, হালকা যন্ত্রপাতি, আইসিটি, হস্ত শিল্পজাত পণ্য, ফার্নিচার উন্নত দেশে রপ্তানি করছে। এসব পণ্যের মান ভালো হবার কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশেও ইতালির বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে তৈরি পোশাক এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি শিল্পে পাঁচটি ইতালিয়ান কোম্পানি কাজ করছে।

 

পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে বিশ^খ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দর বন ও বিশাল সমুদ্র তীর (সিবিচ), পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য, যা বিদেশী পর্যটককে করে মোহিত, বাংলাদেশে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা।




 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/হাসনাত/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়