ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ইসি গঠনে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইসি গঠনে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ‘নিরপেক্ষ কমিশন’ গঠনে আশার বদলে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে বলে মনে করছে বিএনপি।

এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দলটি।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্প্র্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন করবেন- এমন প্রত্যাশা শুধু বিএনপির নয়, এদেশে প্রত্যেক নাগরিকের।

কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সকলের মনে আশার বদলে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রধান থেকে শুরু করে তাদের সাধারণ সম্পাদক ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা যেভাবে ধমকের সুরে কথাবার্তা বলছেন, তাতে রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন কি না- সে বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হওয়া অস্বাভাবিক না’, বলেন রিজভী।

বিএনপিসহ দেশবাসী রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা রাখতে চায় জানিয়ে দলটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যদি আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে দলীয় লোকদের দিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করেন, তাহলে তা জনগণ মানবে না।’

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা তা নাকচ করে দিচ্ছেন। এটি রাজনীতির ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত ও অন্ধকারময় এবং সংঘাতপূর্ণ করে তুলবে। আর এজন্য সকল দায়িত্ব শাসকগোষ্ঠীর।’

গণতন্ত্রকে ‘ফিরিয়ে আনতে’ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে সব দলের সঙ্গে সংলাপ জরুরি বলেও মনে করেন রিজভী।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের রায়ের পর র‌্যাব ১১-এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে র‌্যাব-১১ ছিল কসাইখানা। সাত খুন ছাড়াও র‌্যাব ১১ এর অধীনে কমপক্ষে ১১ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। দায়সারাভাবে তদন্ত চাপা পড়ে আছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও খবর বেরিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের তৎকালীন কার্যালয়টি রীতিমতো কসাইখানায় পরিণত হয়েছিল। সরকারের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাউকে পাত্তা দিতেন না। তার ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে তাদের সহযোগীরা সেসময় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাদের কাছে মানুষ খুন করা ছিল অনেকটা পাখি শিকারের মতো।’

বিএনপির গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা এবং অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান রিজভী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৭/রেজা/এসএন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়