ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উদীয়মান অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ৩৪তম

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উদীয়মান অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ৩৪তম

ডেস্ক রিপোর্ট : ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সামষ্টিক উন্নয়ন সূচকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

ডব্লিউইএফের ২০১৮ সালের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম, যেখানে ভারত রয়েছে ৬২তম অবস্থানে। সার্কভুক্ত শ্রীলঙ্কা ৪০তম এবং পাকিস্তান রয়েছে তালিকায় ৪৭তম অবস্থানে।

১০৩টি দেশকে ‘অগ্রসর ও উদীয়মান’- এই দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সামষ্টিক উন্নয়ন সূচক প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ। এবার ৩০টি অগ্রসর দেশের তালিকায় সবার উপরে আছে নরওয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে আছে আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও ডেনমার্ক। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ২৩, জার্মানি ১২, জাপান ২৪, ইসরায়েল ২৫ ও যুক্তরাজ্য ২১তম অবস্থানে আছে।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় প্রথম অবস্থানে আছে লিথুনিয়া। তারপর পর্যায়ক্রমে আছে হাঙ্গেরি, আজারবাইজান, লাটভিয়া ও পোল্যান্ড। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৩৪তম অবস্থানে।

প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং পারস্পরিক সমতা ও স্থিতিশীলতা- এই তিন পৃথক স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ১২টি বিষয়ের অগ্রগতি মূল্যায়ন সাপেক্ষে সামষ্টিক উন্নয়ন সূচক তৈরি করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মূল্যায়ন করতে গিয়ে জিডিপি, কর্মসংস্থান, শ্রম উৎপাদনশীলতা ও প্রত্যাশিত সুস্থ আয়ু- এই চারটি বিষয়ে কোন দেশ কতটা এগিয়ে, তা আমলে নেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিকরণ মূল্যায়ন করা হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের আয়, দারিদ্র্যের হার, ইনকাম গিনি ও ওয়েথ গিনির ওপর। পারস্পরিক সমতা ও স্থিতিশীলতা নির্ণয় করা হয়েছে স্থায়ী সঞ্চয়, সরকারি ঋণ (জিডিপি অনুযায়ী প্রত্যেকের কাঁধে যত বর্তায়), নির্ভরশীলতার হার ও জিডিপির ওপর কার্বন প্রবলতার ওপর ভিত্তি করে।

১২টি বিষয়ের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্ট সীমারেখায় অগ্রসর ও উদীয়মান দেশের দুটি পৃথক তালিকা সোমবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাশাপাশি প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ। বর্তমান অবস্থা ও আগামী পাঁচ বছরে কোন দেশের অর্থনৈতিক প্রবণতা কেমন- তা বিবেচনায় নিয়ে আলাদা করে দুবার পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সামষ্টিকভাবে ৭ পয়েন্টের মধ্যে ৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট পেয়েছে। আর আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন প্রবণতার সূচকে ৭ পয়েন্টের মধ্যে ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট পেয়েছে। ভারতের চেয়ে এই চিত্র বেশ ভালো। আলাদা দুই সূচক পয়েন্টে ভারত পেয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক শূন্য ৯ এবং ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট।

ডব্লিউইএফ এমন সময় এই সূচক প্রকাশ করল, যখন আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বসতে চলেছে অলাভজনক এই অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অনেক বিশ্বনেতা সম্মেলনে অংশ নেবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতির পর্যালোচনা করে উন্নয়নের মানদণ্ড বিচার করে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সতর্ক করে ডব্লিউইএফ। ১৯৭১ সাল থেকে কাজ করছে সংগঠনটি। তবে ডব্লিউইএফ বলছে, শুধু জিডিপির ভিত্তিতে দেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি নির্ণয় করায় অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র সামনে আসছে না। এ জন্য জিডিপির পাশাপাশি পরিবেশ এবং মানুষ কী ধরনের জীবনমান ধারণ করছে, তাও মূল্যায়ন করছে ডব্লিউইএফ। সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দ্রুত সামষ্টিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এই ফোরাম।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়