ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ আইন পাস

নিয়াজ/এনআর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ আইন পাস

সংসদ প্রতিবেদক : আইনের অধীনে জারিকৃত আদেশের বিরুদ্ধে কোন আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার না দিয়ে জাতীয় সংসদে ‘উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ আইন, ২০১৬ পাস হয়েছে।

 

রোববার রাতে জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে এ আইন পাস হয়। এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক এ সংক্রান্ত বিল পাস করার জন্য সংসদে উত্থাপন করেন।

 

বিলের ওপর বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের আনীত আটটি সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে বিলে অর্থ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না থাকায় বিলটির বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

আইনে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারিদের (ক্যডার-নন ক্যাডার) যে সব পদ সরকার বিলুপ্ত করেছে বা যাদের চাকরি আত্তীকরণের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে, তারা এ আইনের সুবিধা পাবেন।

 

এছাড়া নিউজ পেপার (অ্যানালমেন্ট অব ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৫-এর অধীন যেসব সংবাদপত্রে নিয়োজিত কর্মচারীর চাকরি বিলুপ্ত হয়েছে, এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তারাও সরকারি কর্মচারি হিসেবে গণ্য হবেন।

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মনোনীত না করলে কাউকে আত্তীকরণ করা যাবে না। আত্তীকরণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন হবে না। এ আইনের অধীনে কৃত কোন বা জারিকৃত কোন আদেশের বিরুদ্ধে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা কোন কর্তৃপক্ষের কাছে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এছাড়া কেউ একবার আত্তীকরণ সুবিধা ভোগ করলে তিনি পুনঃ আত্তীকরণের অধিকার পাবেন না।

 

আইনে আরো বলা হয়েছে, সরকারের বিধানাবলী দ্বারা এসব আত্তীকৃত সরকারি কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা, বেতন, ও পেনশন ইত্যাদি নির্ধরিত হবে। এসব কর্মচারিদের বেতন নির্ধারিত হবে পদ বিলুপ্ত হওয়ার আগের স্কেলে। তবে উক্ত স্কেলে পদ না থাকলে নি¤œ স্কেলের পদে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাতে যোগদানে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নির্ধারিত তারিখ হতে অবসরপ্রাপ্ত মর্মে গণ্য হবেন।

 

সরকারের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিত কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ( কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা সরকার প্রতিষ্ঠিত কোন কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক সরকারি কর্মচারী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

 

সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক তার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন ১৯৮৬ বাতিল ঘোষিত হওয়ায় অধ্যাদেশ সমুহের কার্যকারিতা লোপ পায়।

 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, দ্যা সারপ্লাস পাবলিক সার্ভেন্টস অ্যাবজারপশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ একই বছরের ২০ মে প্রকাশ করা হয়। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ প্রনীত হয়েছে। উক্ত অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য অধ্যাদেশটি বাংলাভাষায় ‘উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়।

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/নিয়াজ/এনআর/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়