ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এখনি রোজার বাজার

মৃন্ময়ী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২১, ২৭ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এখনি রোজার বাজার

প্রতীকী ছবি

মৃন্ময়ী হাসান : আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম-সাধনার মাস, পবিত্র রমজান মাস।  রমজান মাসে খাবার-দাবারে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। সেহ্‌রি ও ইফ্‌তারে থাকে ভিন্ন ভিন্ন পদ। সারা দিন রোজা রাখা। তারপর অন্যান্য কাজ তো থাকেই। ফলে রমজান মাসে বেড়ে যায় আমাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে ঝামেলা পাকায় বাজার-সদাইয়ের ফিরিস্তি। তবে রমজান মাসে রোজা রেখে এই ঝক্কি-ঝামেলাটা এড়ানো যায় খুব সহজেই। তাই রোজা আসার আগেই সেরে ফেলুন বাজার সদায়ের কাজ।

 

রোজায় আপনি ও আপনার পরিবার যে ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন, তার একটি তালিকা করুন। পরিবারের যে কয়জন সদস্য, তা মাথায় রেখে হিসাব করুন রোজার মাসে কী পরিমাণ চাল-ডাল, তেল-নুন লাগবে। সঙ্গে এটিও হিসাব করুন কী পরিমাণ ছোলা-পেঁয়াজ-চিনি, বেসন-আটা-ময়দা লাগবে। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পদের দাম সব সময় একরকম থাকে না। আর ঠিকঠাক হিসাব করে কিনলে তা নষ্ট হবার সম্ভাবনাও কম। এ ছাড়া পুরো এক মাসেরটা যেহেতু এক সঙ্গে কিনবেন, তাই দামেও কিছুটা সাশ্রয় হবে।

 

হিসাব করার সময় খেয়াল রাখুন পরিবারে বয়স্ক মানুষ আছে কিনা। বয়স্কদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী খাবার পদ অবশ্যই রাখুন। আপনার জন্য যে খাবার তা বয়স্কদের শরীরে নাও মানাতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

 

তেলযুক্ত খাবার পরিমিতভাবে খান। ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবার শরীরের জন্য কতটা সহনশীল এসব মাথায় রেখে হিসাব করুন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফলমূলও নিয়মিত গ্রহণ করার বিষয়টি মনে রাখুন।

 

সারা মাসে কী পরিমাণ পণ্য আপনার লাগবে তা খুব ভালোভাবে হিসাব করে তালিকা করুন। সবকিছু প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি রাখুন। এতে রোজায় মেহমান এলে বা প্রতিবেশীকে দাওয়াত করলেও হঠাৎ আপনার বাজারে ছুটতে হবে না। পূর্ণাঙ্গ তালিকা করুন।

 

তালিকা করার পর আবার চোখ বুলিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরো একবার চোখ বুলিয়ে নিশ্চিত হোন যে সব কিছু আপনি তালিকায় রেখেছেন কিনা। না হলে ছোট্ট একটা জিনিসের জন্য আবার আপনাকে বাজারে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে। কষ্ট করে হলেও আবার চোখ বুলিয়ে নিন।

 

পুরো এক মাসের বাজার করবেন, পাড়ার বা মহল্লার মোড়ের দোকানটাতে না গেলেই ভাল। মনে করে তালিকাটা পকেটে ভরে আশপাশের কোনো পাইকারি বাজারে চলে যান। এতে আপনার হয়তো রিকশা ভাড়া বাড়তি খরচ হবে। কিন্তু বাজারে বেঁচে যাবে বেশ কিছু টাকা। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে একাধিক দোকান ঘুরে সেরা পণ্যটিই কিনতে পারবেন। চাইলে মেগা শপগুলোকেও বেছে নিতে পারেন আপনার রোজার মাসের বাজারের জন্য।

 

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা, নেপালি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে, ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। খেসারি ডাল ৮০ টাকা কেজি। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, দেশি ছোট রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

 

প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি) ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। পাঁচ লিটার ব্র্যান্ড ভেদে ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা এবং পামওয়েল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা লিটার। চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৬/ফিরোজ/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়