ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

এডিপি বাস্তবায়নে বরাদ্দের সাথে সমন্বিত পরিকল্পনার পরামর্শ

হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ২৬ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এডিপি বাস্তবায়নে বরাদ্দের সাথে সমন্বিত পরিকল্পনার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের পাশাপাশি কার্যকর ও সমন্বিত পরিকল্পনা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনটি ৮ দফা পরামর্শও দিয়েছে।

 

রোববার সংগঠনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এডিপি সংক্রান্ত এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে ডিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপির বরাদ্দ ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এটি গত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বেশি রাখার বিষয়টি সব সময়ই প্রত্যাশিত।

 

ডিসিসিআই মনে করে, প্রস্তাবিত এডিপিতে মানব সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং কৃষিখাতের উন্নয়নে সর্বাধিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তোরণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

তবে আগামী অর্থবছরের এডিপিতেতে ‘ফার্স্ট ট্র্যাক মেগা প্রজেক্ট’ এর আওতায় ১৮ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে ডিসিসিআই।

 

সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাকে বেগবান রাখতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য অবকাঠামো খাতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক। পাশাপাশি শিল্পায়নকে তরান্বিত করতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়ে সরকারের আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তবে গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয় বলেও মন্তব্য করেছে ডিসিসিআই।

 

ডিসিসিআই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে মনে করে, সেগুলো হলো : পিপিপি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং দেশের বেসরকারি খাতকে পিপিপি প্রকল্পে অংশগ্রহণে প্রাধিকার ভিত্তিতে উৎসাহিত করা, পিপিপি’র আওতায় ৪০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) স্থাপন এবং বিনিয়োগ বাড়ানের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ, গ্যাস উত্তোলনকে প্রাধান্য দিয়ে শিল্প কল-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং বিকল্প জ্বালানি উৎস নির্ধারনের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ।

 

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতকে আরো অধিক হারে সম্পৃক্তকরণ, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য অধিক বরাদ্দ ও কঠোর তদারকীর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নকরণ, শিল্পনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখার বিষয়টি অন্তর্ভূক্তিকরণ, যথা সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের  জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ের মনিটরিং সেল গঠন এবং নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে এডিপি বাস্তবায়নে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং প্রাধিকার ভিত্তিতে মাহিলা উদ্যোক্তাদের দৃশ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় সার্বিক অবকাঠামো সুবিধাসহ এসএমই অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুন ২০১৬/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়