এনআইডির ঢিলেঢালা কাজে দুর্ভোগে নাগরিক
মিথুন || রাইজিংবিডি.কম
হাসিবুল ইসলাম মিথুন : রাজধানীর আগারগাঁওস্থ শেরেবাংলা নগরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগে (এনআইডি) ঢিলেঢালাভাবে চলছে নাগরিক সেবা। ফলে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানে সেবা নিতে আসা হাজার হাজার নাগরিককে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোর থেকে নাগরিকরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্যার সমাধান করতে জড়ো হচ্ছেন সেখানে।
সেবা নিতে আসা নাগরিকদের তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে রয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের কাজ হচ্ছে কেউ লাইন ভেঙে ফরম জমা দিচ্ছে কিনা বা কোনো সমস্যার সৃষ্টি করছে কি না তা দেখভাল করা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে নিয়ম ভেঙে কারো কারো ফরম জমা দিয়ে দেওয়া। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাকিদের।
কথা হয় শেরপুর থেকে আসা মোহাম্মদ নাজমুলের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমার পরিচয়পত্রে বাবার নামের বানানে ভুল ছিল। মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহের সময় আমি সঠিক তথ্য দিলেও পরিচয়পত্রে ভুল নাম এসেছে। বুধবার একবার পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য আসলেও দেখি ইসির কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ আবারও এসেছি। কিন্তু যে পরিমাণ দীর্ঘ লাইন এবং তাদের কাজের ধীরগতি, মনে হচ্ছে আজো ফেরত যেতে হবে।
এদিকে গতকাল বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এনআইডির কর্মরত টেকনিক্যাল টিমের আকস্মিক কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে সেখানকার সেবা। এসময় এনআইডির সার্ভারও বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আজ সকাল থেকে কাজে ভেড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনআইডি উইং মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. আবু সালেহ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতকাল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। একটা ভুল তথ্যের কারণে এ কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তারা। বেতন-ভাতা যতটুকু বৃদ্ধি করার কথা সরকার তা করবে শুনে তারা আজ সকাল থেকেই কাজে যোগ দেন। তবে কাজ ঢিলেঢালাভাবে হচ্ছে কি না এমন কোন অভিযোগ আমি পাইনি। যদি এমন হয় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইসি সূত্র থেকে আরও জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ, নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। যেখানে কয়েকজন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া অধিকাংশই অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত।
রাইজিংবিডি/ ঢাকা/৮ অক্টোবর ২০১৫/মিথুন/রহমান
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন