ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এমবাপের গোলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স, পেরুর বিদায়

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এমবাপের গোলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স, পেরুর বিদায়

বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করলেন এমবাপে

ক্রীড়া ডেস্ক : মেজর টুর্নামেন্টে ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন। কাইলিয়ান এমবাপের সেই গোলটাই গড়ে দিল ম্যাচের পার্থক্য। পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠল ফ্রান্স। আর পেরু ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে এসে বিদায় নিল গ্রুপপর্ব থেকেই।

প্রথম দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করল ফ্রান্স। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ডেনমার্ক। তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ আছে দুই দলের সামনেই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও পেরু।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার পর দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি। দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর বিপক্ষে শেষ আট ম্যাচে অপরাজেয় থাকল ১৯৯৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা (৪ জয়, ৪ ড্র)।

ফ্রান্স ও পেরু এর আগে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছিল। ১৯৮২ সালের সেই প্রীতি ম্যাচে ফ্রান্সের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল পেরু। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নিল ফ্রান্স।

ইয়েকাতেরিনবার্গে বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকেই পেরুর শিবিরে আক্রমণ শানিয়েছে ফ্রান্স। পাল্টা-আক্রমণে পেরুও ফ্রান্সের রক্ষণে হামলা দিয়েছে মাঝেমধ্যেই। ৩১ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। কিন্তু মাত্র আট গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে বল সরাসরি গোলরক্ষক হুগো লরসিকে মারেন পেরুর অধিনায়ক পাওলো গুয়েরেরো।

৩৪ মিনিটে এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। আগের মিনিটে ভালো একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে আর ভুল করেননি। বক্সের ভেতর অলিভিয়ের জিরুদের শটে ব্লক করেছিলেন পেরুর রামোস। কিন্তু বল তার পায়ে লেগে উঠে যায় ওপরের দিকে। গোলরক্ষক খানিকটা এগিয়ে থাকায় ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে কোনো সমস্যাই হয়নি এমবাপের।

বিশ্বকাপে এটিই এমবাপের প্রথম গোল। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্টে গোল করলেন এই তরুণ তুর্কি। মেজর টুর্নামেন্টে ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতাও তিনিই (১৯ বছর ১৮৩ দিন)।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত পেরু। পেরুর স্ট্রাইকার পেদ্রো একুইনো ৩০ গজ দূর থেকে যে শটটা নিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপেরই সেরা গোল হতে পারত সেটি। যদিও তার শট দেখে প্রথমে মনে হচ্ছিল অনেকটা বাইরে দিয়ে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাঁক নিয়ে বল লাগে পোস্টের ওপরের কর্নারে।

৭৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আরেকটি ভালো সুযোগ এসেছিল পেরুর সামনে। কিন্তু আন্দ্রে ক্যারিলোর ক্রস থেকে বল পাশের জালে মারেন জেফারসন ফারফান। এরপরই ফ্রান্সের গোলদাতা এমবাপের বদলি হিসেবে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড উসমান ডেম্বেলেকে মাঠে নামান কোচ দিদিয়ের দেশম।

৮২ মিনিটে গোলের সুযোগও এসেছিল ডেম্বেলের সামনে। কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে বল পোস্টের বাইরে দিয়ে মারেন ২১ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত এমবাপের গোলটাই গড়ে দেয় পার্থক্য।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়