ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

১৯৬৯ সালে ঢাকায় স্বৈরাচারী আইয়ুব বিরোধী মিছিলে ছাত্রজনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ।ঊনসত্তরের এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক। জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তী সময়ে ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণ-অভ্যুত্থান।

২০ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের  জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণ-অভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করে বাঙালি জাতি ।

ঊনসত্তরের এইদিনেও ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউরসহ আরো একজন শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান মর্নিং নিউজে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেট নামকরণ করে।

দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে  বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

শহীদ মতিউরসহ অন্যান্য শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়।

গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের। তিনি বলেন, ‘অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৭/শাহ মতিন টিপু/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়