ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কমছে শীত, বাড়ছে সবজির দাম

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কমছে শীত, বাড়ছে সবজির দাম

হাসান মাহামুদ : শীতে রাজধানীর বাজারগুলোতে হরেক রকমের সবজির সমাহার থাকে। সরবরাহ বেশি থাকায় এ সময় সবজির দামও থাকে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এ বছর শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে। তাই অনেকটা তাড়াতাড়িই যেন বিদায় নিয়েছে বাহারি সবজির বহর। শীত কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম।

 

রাজধানীর কমলাপুর এবং খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বাড়তির দিকে। সে ধারা অব্যাহত রয়েছে শুক্রবার ছুটির দিনেও।

 

তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে, যদিও কেজি প্রতি সবজির দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রসুনের দাম। বছরের শুরুতে প্রতি কেজি দেশি রসুনের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। জানুয়ারির শেষদিকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে  ১৪০ টাকায়। চীনা রসুনের দাম একই রকম।

 

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংস এবং চালের দাম। সামান্য বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আকারে একটু ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজও।

 

কমলাপুরের কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, গত কিছুদিনে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। ধরন ভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। তবে দাম নিয়ে এখনো ক্রেতারা সন্তুষ্ট রয়েছেন।

 

তিনি বলেন,  ‘প্রতিবছর অনেকদিন শীতের সবজি পাওয়া যেত। কিন্তু এ বছর তেমন হচ্ছে না। তাই মনে হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে সবজির দাম আরো বেড়ে যাবে।’

 

এদিকে তেলের দাম কমানোর ঘোষণার এক মাস পরেও ৫টাকা হারে ভোজ্যতেলের দাম কমেনি। প্রতি লিটার ৩ টাকা কমে বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। বোতল জাত প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়।

 

চাল কুমড়া, মুলা, বাঁধাকপি, চিচিংগা, শসা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে ২০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মানভেদে প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, ২০ টাকা ৩০ টাকা কেজিতে শালগম। কাঁচকলার হালি ২০ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়, করলা ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা এবং বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকায়। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় দুয়েক টাকা, কোনো কোনো সবজির দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে বলে জানান দোকানীরা।

 

কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে ফুলকপিতে। প্রতি পিস হিসেবেও ফুলকপি বিক্রি হয়। সেক্ষেত্রেও কিছুটা দাম বেড়েছে।

 

এ ছাড়া কাঁচামরিচ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, শশা ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, পটল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, মূলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, ঝিঙা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

বেড়েছে শাকের দামও। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি মূলা শাক মিলছে ১০ ও ১৫ টাকায়, লাল শাক ১৫ ও ২০ টাকায়।

 

তবে শীতের সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে পুঁই শাক। সামান্য আকারে বিক্রি হওয়া পুঁই শাকের দামও বেশি। প্রতি আঁটি পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। আর কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

 

বাজারে মুরগির প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। শীতে হাসের ডিমের চাহিদা বেশি থাকে। তাই হাসের ডিমও একটু বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। হাসের ডিমের হালি (আকারভেদে) ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, ডজন ১২৬ থেকে ১৩০।

 

অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে কেজি ১৪৫ টাকায়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/হাসান/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়