ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা পরিবহণ বন্ধ

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা পরিবহণ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধের মুখে কয়লা বিক্রি ও পরিবহণ বন্ধ রয়েছে।

 

ব্যবসায়ীদের কাছে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা বিক্রি না করায় তারা পূর্বে ক্রয়কৃত কয়লা নেওয়া বন্ধ রেখেছে এবং কয়লা পরিবহণ করতে বাধা দিচ্ছে।

 

ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, রোববার খনি কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের কাছে কয়লা বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে ব্যবসায়ীরা আজ সোমবার সকাল থেকে পূর্বে খরিদকৃত কয়লা সরবরাহ ও পরিবহণ বন্ধ করে দেয়। 

 

খনি থেকে পরিবহণ বন্ধ থাকায় কয়লা নিতে আসা বহু ট্রাককে খনির গেটে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অপেক্ষমাণ ট্রাকের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয় বড়পুকুরিয়া-ফুলবাড়ী সড়কে।

 

খনি কর্তৃপক্ষ বলছেন, খনির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারো কাছে কয়লা বিক্রির সুযোগ নেই। স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ীরা কেউ কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নন। তাই তাদের কাছে কয়লা বিক্রি করা যাবে না। এ অবস্থায় কয়লা ব্যবসায়ী ও পরিবহণ মালিকেরা পরিবহণ বন্ধ করায় খনির কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

 

স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘খনির সূচনালগ্ন থেকে আমরা কয়লার ব্যবসা করে আসছি। খনির যখন কয়লা বিক্রিতে ভাটা পড়েছিল, সেই সময় আমরা বিভিন্ন মালিকের কাছে কয়লা বিক্রি করে দিয়েছি। কয়লা বিক্রয়কারী হিসেবে ২০১৫ সালে খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের পুরস্কৃত করেছে। অথচ এখন তারা ব্যবসায়ীদের কাছে কয়লা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’

 

কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নতুন কয়লা না-দেবে, ততক্ষণ আমাদের (ডিও নেওয়া) খরিদ করা মজুদকৃত কয়লা খনি থেকে নেব না এবং সরবরাহ করতে দেব না।’ 

 

পরিবহণ শ্রমিক নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, বাইরে থেকে ভাটা মালিকেরা  ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কয়লা খরিদ করে। ব্যবসায়ীরা কয়লা না দেওয়ায় পরিবহণ বন্ধ আছে। 

 

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর সাদিক বলেন, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেবলমাত্র কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কয়লা বিক্রয় করবে। স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী দাবিদাররা কেউ কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নন। এ জন্য তাদের কাছে কয়লা বিক্রির সুযোগ নেই।

 

 

রাইজিংবিডি/রংপুর/৫ ডিসেম্বর ২০১৬/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়