ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘কিছুই বের করতে পারিনি’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কিছুই বের করতে পারিনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়াবহ আগুনে রাজধানীর গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের কাঁচা বাজার পুরোটাই ধসে পড়ে। এর আগে মার্কেটের পাশের দুটি অংশ ধসে পড়ে।

 

মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল বের করতে পারেনি। আগুন লাগার খবর শুনে অনেকেই এসে দেখেছেন কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।

 

মঙ্গলবার বিকেলে ব্যবসায়ী আবুল কাসেম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভেতর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। হয়তো সব ছাই হয়ে গেছে। দোকানের ভেতরেও নগদ টাকা ছিল। সব মিলিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

 

আরেক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। জামান হোসেনের তিনটি দোকান। তিনিও কোনো মালামাল বের করতে পারেনি।’

 

আমীর হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে শুধু ২০ লাখ টাক দিয়ে দোকানের ডেকোরেশন করিয়েছেন। চোখের সামনেই ভবন ধসে সব শেষ হয়ে গেলো।

 

মো. সোলায়মান, মো ইউসুফ, শরিফ হোসেন, নূরনবী, আক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান, বেল্লাল- সবারও একই অবস্থা।

 

মোসাদ্দেক ভ্যারাইটিস স্টোরের মালিকের ছেলে মো. মোর্তজা আলী জানান, মার্কেটে তাদের ৫টি দোকান। যা ৫ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত করে ভাড়া দেওয়া। নিজেদেরও দোকান ছিল। কিন্তু নিজেদের যে দোকানটি সেখান থেকেও কোনো মালামাল বের করতে পারেনি।

 

অপরদিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিকেলে সুপার মার্কেট থেকে কিছু কিছু দোকনদারকে মালামাল বের করতে দেখা যায়। মালমাল নিয়ে বসেছিলেন ঝাড়বাতির দোকান মালিক হাজী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, ‘বলার মতো ভাষা নেই। এসে দেখি এই অবস্থা। সামান্য কিছু মালামাল বের করেছি।’

 

তার এক কর্মচারী বলেন, ‘বড় ঝাড়বাতিগুলো ভিতরে রয়েছে। ৫টি ঝাড়বাতি আছে ভিতরে। যা আনতে পারিনি। তার একেটির দাম দশ লাখ টাকা করে।’

 

সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডিসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। মঙ্গলবার বিকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জানুয়ারি ২০১৭/আরিফ সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়