ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কিশোরী হত্যা : বেচু মিয়ার ফাঁসি হাইকোর্টে বহাল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কিশোরী হত্যা : বেচু মিয়ার ফাঁসি হাইকোর্টে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টের কিশোরী শাহেনা আক্তার হত্যা মামলায় পলাতক মীর হোসেন ওরফে বেচু মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এই মামলায় বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল ওয়াহাব মজুমদারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি আবু বরক সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

অদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বজলুল রশিদ ও দেলোয়ারা বেগম বেলা। মীর হোসেনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম। আব্দুল ওয়াহাব মজুমদারের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল জানান, ১৯৯৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টে কাঠালিয়ার বাথুপড়ার রিকশাচালক আব্দুল খালেক টুকু মিয়ার ঘরে ঢুকে তার মেয়ে শাহেনা আক্তারকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা হয়। শাহেনাকে বারবার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে মীর হোসেন ওরফে বেচু মিয়া ও তার সহযোগীরা শাহেনাকে হত্যা করেন।

এ ঘটনার পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর বাবা টুকু মিয়া নাঙ্গলকোর্ট থানায় বেচু মিয়াসহ দুজনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। 

পুলিশ তদন্ত করে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মীর হোসেন ওরফে বেচু মিয়া ও আব্দুল ওয়াহাব মজুমদার ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন- জসিম উদ্দিন এবং খুরশিদ আলম খোকন।

এ মামলায় ২০১১ সালে ৮ মার্চ কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালত মীর হোসেন বেচু মিয়ার মৃত্যুদণ্ড ও আব্দুল ওয়াহাব মজুমদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। জসিম উদ্দিন এবং খুরশিদ আলমকে খোকনকে খালাস দেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি আব্দুল ওয়াহাব মজুমদার।

মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আদালত মীর হোসেন ওরফে বেচু মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়