ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ক্রমবর্ধমান ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যের ভবিষ্যৎ কী?

মো. রায়হান কবির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্রমবর্ধমান ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যের ভবিষ্যৎ কী?

প্রতীকী ছবি

মো. রায়হান কবির : ল্যাপটপ আসার পর বাসার ডেস্কটপ বা পিসির কী অবস্থা তা হয়তো অনেকেই খোঁজ রাখেন না। কেউ কেউ নষ্ট হয়ে যাওয়া মাউস, কিবোর্ড কিংবা সিপিইউ বিক্রি করে দিয়েছেন ফেরিওয়ালার কাছে। সেটা বিভিন্ন হাত ঘুরে হয়তো আবার আমাদের হাতেই চলে আসছে।

যেটা রিসাইকেল যোগ্য বা পুনরায় ব্যবহার করার উপযোগী সেটার ভবিষ্যৎ না হয় বোঝা গেল। কিন্তু যেগুলো একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য সেটার ভবিষ্যৎ কি?

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে গত পাঁচ বছরে এশিয়ায় ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য ৬৩% বেড়েছে। ইউনাইটেড ন্যাশন ইউনিভার্সিটির গবেষণায় উঠে এসেছে এইসব তথ্য। আর শুধু চীনে এই সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ! গত পাঁচ বছরে আমাদের এশিয়াতেই ১২.৩ মিলিয়ন ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য জমেছে!

এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য যে শুধু পরিবেশের জন্যেই খারাপ তা নয়, এটা পুরো ইলেকট্রনিক্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের জন্যেও অশনি সংকেত। কারণ এই বিপুল পরিমাণ ই-ওয়েস্টেজ বা ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য যদি ভালোভাবে রিসাইকেল করা না যায়, তবে ভবিষ্যতে নতুন পণ্য উৎপাদনও ব্যাহত হতে পারে।

তাছাড়া বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যে থাকে সিসা এবং পারদ, যা মানব দেহের জন্যে বেশ ক্ষতিকর। তাছাড়া এটা পৃথিবীতে মিশে গেলেও আমাদের ভবিষ্যতের জন্যে হুমকি স্বরূপ।

এই প্রকল্পের সহ-গবেষক ইউনাইটেড ন্যাশন ইউনিভার্সিটির রুডিগের কুয়ের বলেন, এটা শুধু পরিবেশের বিষয়ই নয়। এটার সঙ্গে জড়িত ব্যবসা এবং অর্থনীতিও। কারণ এই বর্জ্য সঠিকভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে পারলে এখান থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন সম্ভব। তাছাড়া এই বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্যে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগ (এই বিষয়ে) আরো বাড়াতে হবে। কারণ ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যের সবচেয়ে বড় ব্যবস্থাপক হচ্ছে আমেরিকা। তাই তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে হলে বা তাদের কাছে এই বিষয়ে সাহায্যের জন্যে এই বিষয়ে রাজনৈতিক উদ্যোগও প্রয়োজন বলে মনে করেন রুডিগের কুয়ের।

তিনি মনে করেন, এখনই সময় এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের। নতুবা পরিবেশ এবং অর্থনীতি দুটোই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই রাজনীতিবিদদের এদিকটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে নীতিমালা গ্রহণ করা উচিত।

তবে এদিক দিয়ে বাংলাদেশের দেশের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। কারণ ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যের বেশিরভাগ অংশ বিভিন্ন চ্যানেলে আমাদের কাছে রিসাইকেল হচ্ছে। যার প্রমাণ গুলিস্তানের মতো পুরোনো ইলেকট্রনিক্সের বাজারগুলো। এছাড়াও ফেরিওয়ালারা তো আছেই। আপনাকে কোথাও খুঁজে বিক্রি করতে হবে না। তারাই এসে আপনার অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য কিনে নিয়ে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করবে। তবে সরকারের একটি নীতিমালা থাকা উচিত যেগুলো একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য সেটা কিভাবে কোথায় ধ্বংস করা হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়