ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে আকাশের নিচে পাঠদান

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৯ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গোপালগঞ্জে আকাশের নিচে পাঠদান

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে স্কুলভবন না থাকায় আকাশের নিচে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে সোনাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে শিক্ষক, আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ আর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় স্কুলে আসা কমিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

 

শত বছরের পুরনো স্কুলটিতে বর্তমানে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি দোচালা টিনের ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে স্কুলটিতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। এতে অনেক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুলটিতে একটি পাকা ভবন ও স্কুলের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

 

জানা গেছে, ১৯১৪ সালে সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের সোনাশুর গ্রামে সোনাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হলে ১৯৭২ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। তখন স্কুলটিতে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হলেও ২০১৩ সালে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হয়।

 

বর্তমানে পুরনো টিনে তিন কক্ষের ঘর উঠিয়ে দুই কক্ষে চলছে পাঠদান। অন্যটি করা হয়েছে অফিস কক্ষ। ফলে সোনাশুর, ঘোষগাতি, আমুরিয়াসহ আশপাশের ছয়টি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। ঝড়-বৃষ্টি আর রোদে ক্লাস করতে না পারায় বিদ্যালয়ে আসা কমিয়ে দিয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

 

এছাড়া স্কুলটিতে দুজন শিক্ষক থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। কাঁচা রাস্তাটিও পনিতে তলিয়ে থাকায় নৌকায় স্কুলে আসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকটও রয়েছে স্কুলটিতে।

 

প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার জানান, স্কুলটিতে তিনিসহ দুজন শিক্ষক রয়েছেন। দুজন শিক্ষকের পক্ষে ভালো শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। টিনের ঘরটি খুব গরম। একমাত্র ভবনটি ভেঙে ফেলায় গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে ফলাফলও ভালো হচ্ছে না।

 

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম স্কুলটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়টির সংস্কারের জন্য অর্থ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/৯ অক্টোবর ২০১৫/বাদল সাহা/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়