ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শিশু জিহাদ নিহত: বাবার সাক্ষ্য শেষ

এমএ খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু জিহাদ নিহত: বাবার সাক্ষ্য শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের (৩) নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার বাবা নাসির ফকিরের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

 

ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে বুধবার এ সাক্ষীকে অবশিষ্ট জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এরপর বিচারক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

 

গত ৪ অক্টোবর আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

 

আসামিরা হলেন- রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।

 

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেলা ৩ ঘটিকার সময় শিশু জিহাদ পাইপের মধ্যে পড়ে গেলে মিডিয়ার মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আড়োলন সৃষ্টি হয়। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়। পরদিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। এরপর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন জনৈক মজিদ, লিটু ও আনোয়ার। তাদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়।

 

ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। জিহাদের বাবার করা মামলায় চার মাসের মধ্যে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল শাহজাহানপুর থানার এসআই আবু জাফর জাহাঙ্গীর আলম এবং শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করলে ২০১৫ সালের ৪ জুন সিএমএম আদালত ডিবি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

 

মামলাটি অধিকতর তদন্তের পর আসামিদের অভিযুক্ত করে ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান গত ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ অক্টোবর ২০১৬/এমএ খান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়