ঘনঘন খিদে পাওয়ার ৭ কারণ
মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম
প্রতীকী ছবি
দেহঘড়ি ডেস্ক : পেট যেহেতু আছে সেহেতু খিদে পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের একটু পর পর খিদে পায়। শারীরিক পরিশ্রম খিদে বাড়িয়ে দেয়, একথা ঠিক। কিন্তু কম পরিশ্রমীদের কারো কারো কেন ঘনঘন খিদে পায়? জেনে নিন কিছু কারণ।
* যথাযথ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াটা বারবার খিদে পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। ভাত, রুটি, পাঁউরুটি, পাস্তা জাতীয় খাবার কার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস। অনেকই অন্যান্য খাবার বেশি খেলেও পরিমাণমতো কার্বোহাইড্রেট খান না। ফলে বারবার খিদে পায়।
* শরীর সঠিক অনুপাতে প্রোটিন না পেলেও ঘনঘন খিদে পায়। প্রাণীজ প্রোটিনের (মাছ, মাংস, ডিম) পাশাপাশি উদ্ভিজ প্রোটিন (ডাল) না খেলে দেহে অ্যামাইনো অ্যাসিড উৎপাদন ব্যাহত হয়।
* খাদ্যে যে জৈব রাসায়নিক উপাদানগুলো থাকে, তার মধ্যে জটিলতম গঠন ফ্যাট জাতীয় পদার্থের। হজমের গন্ডগোলের জন্য ফ্যাট ঠিকমতো না ভাঙলে, দেহের বর্জ্যের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের চাহিদা মেটাতে আবারও খিদে পায়।
* যতই মাছ-মাংস খান, শাকসবজি জাতীয় খাবারও কিন্তু দেহের জন্য খুবই দরকারি। এতে থাকে ফাইবার। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ফাইবার কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। তবে তাতেও কাজ না হলে আবারও বসতে হয় খাওয়ার টেবিলে।
* খুব বেশি ফল খাচ্ছেন? এটাও কিন্তু খিদে বাড়ার কারণ হতে পারে। ফলে থাকে ফ্রুক্টোজ জাতীয় শর্করা। যা খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
* মানসিক কারণও কিন্তু বারবার খিদের জন্য দায়ী! আপনি কী সবসময় খাওয়ার কথা চিন্তা করেন? খাবার সম্পর্কে চিন্তা থেকে অনেকেরই মনে ধারণা হয়, যে তার খিদে পেয়েছে।
* পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও বারবার খিদে পায়।
তথ্যসূত্র : আজকাল
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুন ২০১৬/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন