ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঘাতক সমরেশের ডায়েরিতে মিলল চারটি প্রেমপত্র

টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘাতক সমরেশের ডায়েরিতে মিলল চারটি প্রেমপত্র

ঘাতক ব্যাংক ম্যানেজার সমরেশ ও নিহত সুচেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘাতক ব্যাংক ম্যানেজার সমরেশ সরকারের ডায়েরিতে মিলল চারটি প্রেমপত্র। ২৯ আগস্ট টুকরো টুকরো করে কাটা যার দেহ গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে তিনি ধরা পড়লেন, সেই সুচেতাকে উদ্দেশ্য করে এই প্রেমপত্রগুলো লেখা। চিঠিগুলো লিখেছেন ডায়েরির রুলটানা পাতায়। সমরেশের ব্যাগেই মিলেছে এই চিঠি। ডায়েরিটি সমরেশের একেবারেই পার্সোনাল।

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এই ম্যানেজার যে আবাসনে থাকতেন, সেখান থেকে সুচেতার ফ্ল্যাটের দূরত্ব দুই কিলোমিটারেরও কম। সুচেতা এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। সঙ্গে চার বছরের মেয়ে দীপাঞ্জনা (টুকরো করে কাটা হয়েছে তাকেও) থাকত শুধু। ফলে সেখানে যাতায়াতে কোনও বাধা ছিল না সমরেশের। মোবাইল তো ছিলই। তার পরেও কেন এই চিঠি? যা পরে আর পাঠানো হল না। কেন তাতে বারবার লেখা হল দু’জনের প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা? ওই সব কথা কি ফোনে বা মুখোমুখি বলতে পারছিলেন না সমরেশ? লিখে কি তাঁর মনে হয়েছিল, পাঠানো ঠিক হবে না? না কি, পুরোটাই সাজানো? নিজের প্রেম জাহির করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার ছক?

মঙ্গলবার পুলিশের কাছে দু’জনকেই খুন করার কথা কবুল করেছেন সমরেশ। জেরায় সমরেশ জানান, সুচেতা ও অন্য এক তরুণীর ব্যাঙ্কের আমানত ও সঞ্চয়ের কাগজপত্র তার কাছে আছে। তাই পুলিশ সমরেশকে তার আবাসনে নিয়ে গিয়েছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার পর পুলিশের চোখে পড়ে ডায়েরির পাতায়। আর তখনই চারটি চিঠি দেখতে পান তারা। পুলিশের ধারণা, সেগুলি মাস কয়েকের মধ্যে লেখা। তাদের সংশয়, তবে কি কিছু দিন যাবত তাদের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনে ভুগছিলেন সমরেশ?

ব্যাংকের সহকর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে চার বছরের দীপাঞ্জনারও কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন সমরেশ। খুন হওয়ার দিন চারেক আগে মেয়েকে নিয়ে ব্যাংকে আসেন সুচেতা। সে দিন শিশুটিকে চকোলেট দিয়ে আদর করতে দেখা গিয়েছিল সমরেশকে।

সর্বশেষ খবর, আপাতত তিনি থানার লক আপে দিব্যি আছেন সমরেশ। খাওয়া-ঘুম কিছুতেই কোনও হেরফের নেই। বুধবার সারাটা দিন কার্যত গড়িয়েই কাটিয়েছেন। দুপুরে শালপাতা বিছানো স্টিলের থালায় খেয়েছেন ভাত, ডাল, করলা ভাজা, চচ্চড়ি, কাতলা মাছের ঝোল, এমনকি পাঁপড়ও। হাবভাব তার খুবই স্বাভাবিক।

 

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়