চোরাই মোটরসাইকেলসহ এএসআই আটক

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের এএসআই জাবেদ আলীকে আটক করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে নীলফামারীর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে আটক করা হয়।

এএসআই জাবেদ আলী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত। তিনি পঞ্চগড় জেলা সদরের পানিমাছপুকুরী মাহানপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।

জানা যায়, নীলফামারী শহরের কলেজপাড়া মহল্লার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে (৫ ফেব্রুয়ারি) দুটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় পরের দিন শনিবার নীলফামারী থানায় মামলা করা হয়।  

ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি রোববার দুপুর দেড়টার দিকে খবর পান, তার বাড়ি থেকে চুরি হওয়া দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে এক ব্যক্তি ডোমার সড়ক দিয়ে সৈয়দপুরের দিকে যাচ্ছে। এ খবর নীলফামারী থানায় অবগত করে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়। সেখানে ওই এএসআইকে চুরি হওয়া ১৫০ সিসি ট্রিগার মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। চুরি হওয়া অপর ১৩৫ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেলটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নীলফামারী থানায় নিয়ে আসার পর জাবেদ আলীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত। প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২০১৩ সালে যে ১০৫ জন পুলিশ সদস্য সম্মাননা পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) লাভ করেন। গত ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় যোগ দেন।

চোরাই মোটরসাইকেল সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি পঞ্চগড়ে। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। আমার এক আত্মীয় মোটরসাইকেলটি বিক্রির কথা বললে সেটি কেনার উদ্দেশে আমি নেই। কিছু টাকা পরিশোধ করেছি, কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলে বাকি টাকা পরিশোধের চুক্তি করি। রোববার দুপুরে ওই মোটরসাইকেল নিয়ে আমার কর্মস্থল গোবিন্দগঞ্জ থানায যাচ্ছিলাম। এ সময় নীলফামারী শহরের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে লোকজন আমাকে থামতে বল। আমি থেমে তাদের কথায় বুঝতে পারি, এটি চোরাই মোটরসাইকেল।’

নীলফামারী থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আটককৃত এএসআই জাবেদ আলীর কথামত তাকে নিয়ে বিকেলে পুলিশের একটি দল পঞ্চগড়ে অভিযানে গেছে। টিমটি পঞ্চগড় থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।

রাইজিংবিডি/নীলফামারী/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/সিথুন/রফিক