জবিতে শিক্ষিকা লাঞ্ছনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
আশরাফুল || রাইজিংবিডি.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে ছাত্রলীগ নেতা আরজ মিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নূর মোহাম্মদ এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করায় তাৎক্ষণিকভাবে আরজ মিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আলী নূরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে লাঞ্ছনার শিকার হওয়া শিক্ষিকা ছাত্রলীগ নেতা আরজ মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
রোববার বিকেলে কোতয়ালী থানায় ওই শিক্ষিকা নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগ নেতা আরজ মিয়া তাকে ধাক্কা দেয়, জামা ধরে টান দেয় এবং চড় মারে।
উল্লেখ্য রোববার বেলা দেড়টার দিকে জবির লোক-প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগ নেতা আরজ মিয়া।
লাঞ্ছনাকারী আরজ মিয়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক।
কোতোয়ালি থানার অপারেশন কর্মকর্তা মো. রফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ছাত্রলীগ নেতা আরজ মিয়াকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি দল আরজ মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এর প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত আরজ মিয়ার বিচারের দাবিতে দুপুর ২টার দিকে জবি উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে ছাত্রলীগ তাদেরকে বাধা দেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষিকা লাঞ্ছিতকারী বখাটের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে না।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম দলবল নিয়ে তাদেরকে চলে যেতে বলেন। শিক্ষার্থীরা চলে যেতে না চাইলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ব্যানার কেড়ে নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৫/আশরাফুল/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন