শপিংমলে শীতবস্ত্রের বিক্রি বাড়ছে
হাসিবুল ইসলাম মিথুন || রাইজিংবিডি.কম
হাসিবুল ইসলাম মিথুন : শুরু হয়েছে শীত। রাজধানী ঢাকায় এখনও হালকা হলেও ঢাকার আশপাশের এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি।
এদিকে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। শপিংমলগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক তুলছেন ব্যবসায়ীরা। জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটারসহ প্রায় সব ধরনের শীতের পোশাক এখন শপিংমলে পাওয়া যাচ্ছে। দাম কম হলেও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ (শুক্রবার) সরকারি ছুটি থাকায় সকাল থেকেই রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, ধানমন্ডির বিভিন্ন শোরুমে প্রচুর ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি শপিংমলেই প্রচুর শীতবস্ত্র তুলেছেন। বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার এমনকি হাতমোজাও পাওয়া যাচ্ছে শোরুমগুলোয়। মার্কেটে মার্কেটে ক্রেতা-সাধারণের ভিড়ও লক্ষণীয়।
বিক্রেতারা জানান, ঢাকায় কম হলেও গ্রামে বাড়ছে শীত। ঢাকার বাইরের লোকজনই শীতের পোশাক কিনছেন বেশি।
ধানমন্ডি তিন নম্বরে ইস্টাসি শোরুমের এক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ঢাকায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তাই আমাদের শোরুমে অনেক ধরনের শীতের পোশাক তোলা হয়েছে বিক্রির জন্য।
ইয়েলোর বসুন্ধরা শপিংমল শোরুমের বিক্রয় কর্মকর্তা তাওহীদ আলম বলেন, নারী-পুরুষ সবার জন্যই রয়েছে শীতের পোশাক। নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক শোরুমে উঠানো হয়েছে। বিক্রিও শুরু হয়েছে।
বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের প্লাস পয়েন্ট শোরুমের এক বিক্রেতা জানান, এখন যারা শীতের কাপড় কিনছেন তারা অধিকাংশই ঢাকার বাইরের গ্রাহক। ঢাকার বাইরে ভালো শোরুম না থাকায় তারা এখানে কিনতে এসেছেন।
শীতের পোশাকের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শোরুমে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা দামের জ্যাকেট, সোয়েটার রয়েছে।
নিউমার্কেটের বিক্রেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আজ ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই প্রচুর ক্রেতা এসেছেন। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই কিনেছেন শীতের পোশাক।
তিনি বলেন, ঢাকায় শীত এখনো তেমন পরেনি। তবে শীত বাড়লে দাম বাড়বে, তাই আগেভাগেই পোশাক কিনছেন অনেকে। আবার অনেকেই ঘুরে ফিরে দেখছেন কী ধরনের পোশাক উঠেছে শপিংমলগুলোয়। এখন এসে পছন্দ করে যাচ্ছেন পরে এসে কিনবেন।
ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নিউমার্কেটে শপিংয়ে এসেছেন মিরপুরের বাসিন্দা সাঈদ হাসান। তিনি জানান, বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশেই ভালো মানের কাপড় ও চামড়ার জ্যাকেট, সোয়েটার তৈরি হচ্ছে। তাই চীন ও ভারত থেকে পোশাক আমদানি কমেছে। তবে ক্রেতারা দেশের চাইতে বিদেশে তৈরি জানলে বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান। তাদের এ ধরনের মানসিকতার কথা চিন্তা করে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে পণ্য আনেন অনেক ব্যবসায়ী।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৬/মিথুন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন