ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১২, ৩০ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে (ছবি : সুজাউদ্দিন রুবেল)

কক্সবাজার প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা ৫ থেকে ৭ ফুট প্রবাহিত হয়ে জেলার আট উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক রাইজিংবিডিকে জানান, জেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে ৩-৫ ফুট পানি উঠেছে।

যার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, বাঁকখালী নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে ৩৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এই পানির স্তর থাকে এর ১০ সেন্টিমিটার নিচে। তবে মাতামুহুরীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জলোচ্ছ্বাসে সদর উপজেলার ছয়টি, রামুর একটি, চকরিয়ার চারটি, পেকুয়ার চারটি, কুতুবদিয়ার সাতটি, মহেশখালীর তিনটি, উখিয়ার একটি ও টেকনাফের দুটি ইউনিয়ন ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা রাইজিংবিডিকে জানান, পুরো জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৯৬টি। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে রয়েছে উদ্ধার বাহিনী।

উদ্ধার ও উদ্ধার-পরবর্তী কাজের জন্য রয়েছে ১০টি স্পিডবোট ও সাতটি বাস ও একাধিক ট্রাক ত্রাণ পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে সেবা নিশ্চিত করার জন্য একজন করে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কমল উদ্দীন রাইজিংবিডিকে জানান, আসন্ন দুর্যোগে সার্বিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সকল চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুরো জেলায় ৮৮টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭১টি হলো প্রতিটি ইউনিয়নে। আর ১৭টি হলো ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম।

 

 

 


রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/৩০ জুলাই ২০১৫/সুজাউদ্দিন রুবেল/রণজিৎ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়