ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঝিনাইদহে ‘সুখ চান্দের মোড়’

মোখলেছুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৯ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঝিনাইদহে ‘সুখ চান্দের মোড়’

মোখলেছুর রহমান : ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন অংকুর নাট্য একাডেমির উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে ‘কমেডি নাট্য উৎসব’। ৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হবে এ উৎসব। ১০ অক্টোবর এ উৎসবে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাট্যদল কিসসা কাহিনী প্রযোজিত নাটক সুখ চান্দের মোড়। আসাদুজ্জামান দুলালের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন।

নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক মো. জসিম উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সহজ সরল এক নাট্য আখ্যান সুখ চাঁন্দের মোড়। শ্রমজীবি মানুষ শত শোষণ বঞ্চনার মাঝেও যে জীবনের হাস্যরসে সিক্ত হতে পারে তারই দুয়াপাত রয়েছে এই পাণ্ডুলিপিতে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে আমাদের এ নাট্য নির্মাণে অনেকটা অনিবার্যভাবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্যাঙ্গিক সংযাত্রা। শরীর অঙ্কন শিল্প এ প্রযোজনায় বৃদ্ধি করেছে গুণগত মান। আমাদের শ্রম, সময়, ও সামর্থের শেষ বিন্দুটুকু ঢেলে দিয়েছি এই শিল্প নির্মাণে। তবে ব্যাঞ্জনের স্বাদ কেমন হয়েছে তা বিচারের এখতিয়ার ভোক্তা তথা দর্শকদের।’

নাটকের গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সুখ চান্দের মোড় প্রত্যন্ত এক গ্রামের চার রাস্তার সংযোগ স্থলের নাম। বড় রাস্তার সঙ্গে পিচঢালা সংযোগ সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সুখ চাঁন্দের মোড় থেকে। এ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কামলা, কামলার দালাল, রাজ মিস্ত্রী, ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার এমনকি রাজনীতিবিদরাও এই ব্যস্ততায় যুক্ত। অনেক আশা আর সুখের সম্ভাবনা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই রাস্তা। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও যুক্ত হয়েছে এই রাস্তার সঙ্গে। কিন্তু সত্যিই কি সুখ আর সম্ভাবনার প্রতীক এই রাস্তা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি যুক্ত হচ্ছে এই নির্মিতব্য অবকাঠামোর সঙ্গে। নাকি কামলা থেকে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত সুখ সন্ধানী মানুষের পারস্পারিক শোষণের পর্যায় ক্রমিক কাঠামো পোক্ত হচ্ছে এই কর্মযজ্ঞে! এমনি গোলক ধাঁধার আবর্তেও কেউ না কেউ থাকে যে পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের ক্যানভাসে সুন্দর স্বদেশের স্বপ্ন দেখে। সে কবি কাশেম গণি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে সে প্রতিরোধও গড়ে তুলে শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে। আপাত দৃষ্টিতে এই প্রতিরোধ ব্যর্থ। হয়তোবা কাশেম গণির এই প্রতিরোধ আমাদের স্বচেতনতার দুয়ারে যে কষাঘাত করে তাতেই এর সার্থকতা।’

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মো. নোমান, সুরেশ চন্দ্র দাস (খোকন), মো. শামীম মিয়া, তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ জাভেদ (আকাশ), মো. জান্নাতুন আদনান (অভি), শুভজিৎ কুমার পাল, কাকন চৌধুরী,অমিতাভ রাজীব,পংকজ দাস (নিরব), মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। পোষাক ও শরীর অঙ্কনে এনাম তারা সাকী, প্রপস ও সেট নির্মাণে ফজলে রাব্বি সুকর্নো। আলোক পরিকল্পনায় শওকত হোসেন সজীব।

চলতি বছরের ২৭ জুন শিল্পকলা একাডেমীর স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে প্রথম মঞ্চস্থ হয় এ নাটকটি। কমেডি নাট্য উৎসবের পর্দা নামবে ১২ অক্টোবর।  


 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ অক্টোবর ২০১৫/আমিনুল ই শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়