ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে টিকে রইল বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে টিকে রইল বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ : এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

স্কোর: বাংলাদেশ ২৪৯/৭

         আফগানিস্তান ২৪৬/৭
 

বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তান

দারুণ জয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। পাকিস্তানকে হারালে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হবে বাংলাদেশ। অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছে দুই দলের ম্যাচটি।  

ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ

ব্যাট ও বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে বাংলাদেশকে কাঙ্খিত জয় এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে লড়াকু পুঁজি এনে দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরবর্তীতে বল হাতে নেন উইকেট। ফিল্ডিংয়েও নিয়েছেন ক্যাচ। সব  মিলিয়ে তিন বিভাগেই দলের জয়ে অবদান রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাইতো ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে। 

শেষটা রাঙাল বাংলাদেশ

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য ৮ রান লাগত আফগানিস্তানের। মুস্তাফিজের করা ওভার থেকে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি আফগানিস্তান। ৩ রানে জয় পেয়েছে মাশরাফির দল। 

মাশরাফির আরেকটি উইকেট

বিপজ্জনক হাসমতউল্লাহকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আরেকটি উইকেটের স্বাদ দিলেন মাশরাফি। ৯৯ বলে ৭১ রান করে মাশরাফির বলে বোল্ড হন হাসমতউল্লাহ। তার আউটের সময়ে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৯২। 

উইকেট পেলেন মাশরাফি

নিজের তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে উইকেটের স্বাদ পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।মাশরাফি ফিরিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগানকে। ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারীতে শূন্যে ক্যাচ ভাসান ৩৯ রান করা আসগর। তার আউটের সময় আফগানিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৬৭। 

প্রথম ওভারেই মাহমুদউল্লাহর উইকেট

২৫তম ওভারে বল হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ভেতরে ঢোকানো বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ শাহজাদ। ৮১ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন শাহজাদ। তার আউটের সময় আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৮৯। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হাসমতউল্লাহকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি বাঁধেন শাহজাদ। তাদের প্রতিরোধ ভাঙলেন ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ানো মাহমুদউল্লাহ। 

সাকিবের দুর্দান্ত রান আউট
অহেতুক এক সিঙ্গেল নিতে গিয়ে নিজে হয়েছিলেন রান আউট। ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত এক রান আউট করে সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও শান্তনার প্রলেপ দিলেন সাকিব আল হাসান। নাজমুল ইসলাম অপুর বলটা মোহাম্মদ শাহজাদ খেলেছিলেন পয়েন্টে। নন স্ট্রাইকে থাকা রহমত শাহ অনেকটাই বেরিয়ে গেছেন ক্রিজ থেকে। সাকিব প্রথমে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বলটা থামালেন, উঠে বাঁ হাতের বুলেট গতির থ্রোয়ে ভেঙে দিলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। রহমত রান আউট হয়ে ফেরেন ১ রানে। তখন আফগানিস্তানের স্কোর ২  উইকেটে ২৬।

প্রথম বলেই উইকেট মুস্তাফিজের
পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথমবার আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাঁহাতি পেসার প্রথম বলেই দলকে এনে দেন সাফল্য। সরাসরি পয়েন্টে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এহসানউল্লাহ। ২০ রানে আফগানিস্তান হারায় প্রথম উইকেট।

শাহজাদকে জীবন দিলেন মিথুন
ওয়ানডে অভিষেকে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন নাজমুল ইসলাম অপু। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনারের বলে মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচ ফেলেন মোহাম্মদ মিথুন। বেরিয়ে এসে অপুকে উড়াতে চেয়েছিলেন আফগান ওপেনার। টাইমিংয়ের গড়মিল করে ফেলেন, বল উঠে যায় আকাশে। মিড অনে বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন মিথুন। বল তার হাতে গলে পড়ে মাথায়। ৯ রানে জীবন পান শাহজাদ।

মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দুটি ‘দৌড়’ কী বিপদেই না ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে! অযথায় সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ক্ষণিকের ব্যবধানে রান আউটে কাটা পড়লেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। তখন ৮৭ রানেই নেই ৫ উইকেট। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ১১৯ রানে। আজ আগে ব্যাট করতে নেমেও দুইশর আগে অলআউট হওয়ার শঙ্কাটা তখন ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল।

সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করলেন মাহমুদউল্লাহ ও হঠাৎ দেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ইমরুল কায়েস। তাদের রেকর্ড ১২৮ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতেই শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৯ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৮১ বলে খেলেছেন ৭৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ইমরুল ৮৯ বলে ৬ চারে অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানের কার্যকরি ইনিংস খেলে। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ১০ রান করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

১০ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার পেসার আফতাব আলম। দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান পেয়েছেন একটি করে উইকেট। মুজিব ১০ ওভারে দিয়েছেন ৩৫ রান, রশিদ ৪৬।



মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল জুটির রেকর্ড
ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ওয়ানডে জুটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। এই দুজনের ১২৮ রানের জুটি ছাড়িয়ে গেছে ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদের অবিচ্ছিন্ন ১২৩ রানের জুটিকে।  

মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ইনিংস
যখন উইকেটে এসেছিলেন, ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে দল। সেখান থেকে কী দারুণ এক ইনিংসই না খেললেন মাহমুদউল্লাহ। আফতাব আলমের শর্টে বলে আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এই ইনিংসের পথে ষষ্ঠ উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে গড়েছেন ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি।

ইমরুলের দারুণ ফিফটি
আগের রাতেই দেশ থেকে গেছেন দুবাইয়ে। আজ একাদশে সুযোগ পেয়ে কী দারুণভাবেই না সেটি কাজে লাগালেন ইমরুল কায়েস। ভ্রমণ ক্লান্তি ছাপিয়ে করলেন দারুণ এক ফিফটি। ক্যারিয়ারের আগের ৭১ ওয়ানডে ইনিংসের ৬১টিতে নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে, বাকিগুলোতে তিনে। কিন্তু আজ তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ছয় নম্বরে। এই পজিশনে প্রথমবার নেমেই ফিফটি করলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৭৭ বলে ফিফটি করতে ২টি চার হাঁকান ইমরুল।

দুইশ ছাড়াল বাংলাদেশ
প্রথম বলটা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। পরের বলেই স্লগ সুইপে রশিদ খানকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ। আর এই ছক্কায় দুইশ ছাড়াল বাংলাদেশের স্কোর। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২০৭। মাহমুদউল্লাহ ৭২ ও ইমরুল কায়েস ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন।



মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল জুটির সেঞ্চুরি
রশিদ খানের গুগলিটা শরীরটা এগিয়ে নিয়ে স্লগ সুইপে সীমানার ওপরে আছড়ে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ, ম্যাচের প্রথম ছক্কা। ৯৪ মিটার এই ছক্কাতেই পূর্ণ হলো মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েসের ষষ্ঠ উইকেট জুটির সেঞ্চুরি। ১৩০ বলে ছুঁয়েছে জুটির একশ।

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
যখন উইকেটে এসেছিলেন, ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে দল। সেখান থেকে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে জুটি বেঁধেছেন মাহমুদউল্লাহ। আফগান বোলারদের দেখেশুনে খেলে সিঙ্গেল বের করেছেন। মারার বল চার মেরেছেন। এরই পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন দারুণ এক ফিফটি। ব্যক্তিগত ৪৯ থেকে আফতাব আলমের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এই সময়ে চার মেরেছেন তিনটি।

মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল জুটির পঞ্চাশ
তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। ৬৫ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। তখন মাহমুদউল্লাহ ২৯ ও ইমরুল ২৫ রানে অপরাজিত।

বাংলাদেশের একশ
গুলবাদিন নাইবের অফ স্টাম্পের বলে চার হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ। এই চারেই পূর্ণ হলো বাংলাদেশের শতরান। ২৫ ওভার ২ বলে ১০০ করেছে বাংলাদেশ, তবে উইকেট হারিয়েছে ৫টি। মাহমুদউল্লাহ ৯ ও ইমরুল কায়েস ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

 

একই ভুল করলেন মুশফিকও
রশিদ খানের আগের ওভারে অযথায় রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েছেন সাকিব আল হাসান। আফগান লেগ স্পিনারের পরের ওভারে একই ভুল করলেন মুশফিকুর রহিমও। তিনি যদিও সাকিবের মতো স্ট্রাইকে ছিলেন না। ইমরুল কায়েস রশিদের গুগলিটা খেলেছিলেন স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। তিনি সিঙ্গেল নিতে চাননি। কিন্তু মুশফিক ছুটে গেছেন মাঝ উইকেটে। মোহাম্মদ নবীর থ্রোয়ে বল ধরে রশিদ যখন স্টাম্প ভেঙে দিলেন, মুশফিক অনেকটা দূরেই। ৫২ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন মুশফিক। তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৮৭।

নেমেই রান আউট সাকিব
রশিদ খানের গুগলিটা মিড উইকেটে ঠেলেই সিঙ্গেলের জন্য ছুটেছিলেন সাকিব আল হাসান। নন স্ট্রাইকে থাকা মুশফিক ফিরিয়ে দেন সাকিবকে। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি বল ধরে সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প। সাকিবের ফেরার কোনো সুযোগই ছিল না। ২ বলে শূন্য রান করে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তিন বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারাল তিন ও চার নম্বর উইকেট।

উইকেট উপহার দিলেন লিটন
আগের বলেই রশিদ খানকে ইনসাইড-আউট করে মেরেছিলেন দারুণ এক চার। অফ স্টাম্পে করা পরের বলটা সুইপ করতে গেলেন লিটন দাস। কিন্তু টপ এজ হয়ে বল উঠে গেল আকাশে। ৪৩ বলে ৪১ রান করে লিটন ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৮১। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।  

জীবন পেলেন মুশফিক
অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানকে কাট করতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে লেগে বল চলে যায় স্লিপে। তবে স্লিপ ফিল্ডার বল তালুবন্দি করতে পারেননি। ৯ রানে জীবন পান মুশফিক।



পাওয়ার প্লেতে দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৪ রান। উইকেট হারিয়েছে দুটি। আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুন। লিটন দাস ২১ মুশফিকুর রহিম ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

৫৪ বলে প্রথম বাউন্ডারি
ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারির জন্য বাংলাদেশের লেগেছে ৫৪ বল। নবম ওভারের শেষ বলে গুলবাদিন নাইবকে কভার ও মিড অফের মাঝামাঝি দিয়ে চার হাঁকান লিটন দাস। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৩২। লিটন ২০ ও মুশফিক ৪ রানে অপরাজিত আছেন।   

টিকলেন না মিথুনও
আগের ওভারের শেষ বলে নাজমুল হোসেনের বিদায়ে ভেঙেছে ১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে গেলেন তিনে নামা মোহাম্মদ মিথুনও। অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়া মিথুন করেছেন ১ রান। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২ উইকেটে ১৮। চার বলের মধ্যে দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বেশ চাপেই বাংলাদেশ।

আবার বাজে শটে আউট নাজমুল
আগের ম্যাচে অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। আজ আবার বাজে শটে আউট হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জায়গা করে নিয়ে পেসার আফতাব আলমকে উড়াতে গিয়ে বল তুলেছেন আকাশে। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন রহমত শাহ। তিন ম্যাচে নাজমুলের রান ৭, ৭ ও আজ ৬! শেষ তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ১৫, ১৫ ও আজ ১৬!

 

বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন
লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনিংয়ে রান না পাওয়ায় হঠাৎ করেই গতকাল রাতে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। আজ একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শুধু ইমরুল। লিটন ও শান্ত অবশ্য জায়গা ধরে রেখেছেন। ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর। আগের ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও রুবেল হোসেন।

পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকে আফগানিস্তান একাদশে পরিবর্তন এসেছে একটি। নজিবুল্লাহ জাদরানের জায়গায় খেলেছেন শামিউল্লাহ শেনওয়ারি। 

বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল, মিথুন, মাশরাফি (অধিনায়ক), মিরাজ, অপু, মুস্তাফিজ।

আফগানিস্তান একাদশ
শাহজাদ, এহসানউল্লাহ, রহমত, আসগর (অধিনায়ক), হাসমতউল্লাহ, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ, গুলবাদিন, রশিদ, আফতাব, মুজিব।

টস জিতলেন মাশরাফি

টস ভাগ্য পাশে পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগান জানান, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়।



বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই
এশিয়া কাপের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিততেই হবে। কাজটা যে ভীষণ কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ পেয়েছে বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানে হারের পর সুপার ফোরে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হার। টানা দুটি বড় পরাজয়ে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরেছে। সেখান থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।

মাশরাফির তিন উইকেটের অপেক্ষা
আর ৩ উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ২৫০ ওয়ানডে উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই ম্যাচের আগে মাশরাফির উইকেটসংখ্যা যদিও ২৪৮টি। এর মধ্যে ২৪৭টি নিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। একটি উইকেট নিয়েছিলেন ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।

সমানে সমান
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এর আগে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ছয়বার। যেখানে দুই দলেরই জয় সমান ৩টি করে। আজ আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে? পারবে গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নিতে?



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়