ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিশাল ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশাল ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

আবু হোসেন পরাগ : এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার হারল বাংলাদেশ। ১৩৬ রানে জিতেছে আফগানিস্তান। 


স্কোর: আফগানিস্তান ২৫৫/৭ (৫০ ওভার)

বাংলাদেশ ১১৯/১০ (৪২.১ ওভার)

দুর্দান্ত রশিদ খান

জন্মদিনের সেরা পুরস্কার পেলেন রশিদ খান। তিন বিভাগে ভালো পারফর্ম করে বাংলাদেশকে একাই হারিয়েছেন ২০ বছরে পা রাখা রশিদ খান। প্রথমে ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৩২ বলে করেন ৫৭ রান। পরবর্তীতে বল হাতে নেন ৯ ওভারে ৩ মেডেনে ১৩ রানে নেন ২ উইকেটে। ফিল্ডিংয়েও অবদান রেখেছেন। রান আউট করেছেন আবু হায়দার রনিকে। সব মিলিয়ে আবু ধাবিতে স্বপ্নের মত দিন কাটিয়েছেন এ আফগান ক্রিকেটার। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও পেয়েছেন তিনি।   

ফিরে এল ২০১৪ এশিয়া কাপ

এশিয়া কাপে আবার বাংলাদেশকে হারাল অাফগানিস্তান। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে হয়েছিল এশিয়া কাপ। সেবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবীর দল জিতেছিল ৩২ রানে। চার বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ একই মঞ্চে হারল ১৩৬ রানে। 

শূন্য রানে শেষ ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ

১১৯ রানে শেষ ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট আবু হায়দার রনি (১)। রুবেল হোসেন প্রথম বলে এলবিডব্লিউ। মুজিব-উর-রহমানের বলে আউট রুবেল। স্কোরবোর্ডে  কোনো রান যোগ না করেই শেষ ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন ৬০ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।  

মাশরাফি ফিরলেন শূন্য রানে

১১ বল খেলে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ মাশরাফি। মোহাম্মদ নবীর লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের বল স্লগ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মাশরাফি। সেখানে আফতাব আলম দারুণ ক্যাচ ধরেন। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১১০। 

বাজে শটে ফিরলেন মিরাজ

৩৪তম ওভারে অধিনায়কের থেকে বল পান পার্ট টাইম লেগ স্পিনার রহমত শাহ। প্রথম বলে তাকে উইকেট উপহার দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হাওয়ায় ভাসানো বলে স্লগ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ৪ রান করা মিরাজ। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১০০। 

রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ

সাকিবের পর সেট মাহমুদউল্লাহকেও সাজঘরের পথ দেখালেন রশিদ খান। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। ৫৪ বলে ২৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। 

সাজঘরে সাকিব

উইকেট আগলে রেখে একপ্রান্তে লড়াই করে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। পঞ্চম উইকেটে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুরছিল ভালোভাবেই। কিন্তু নিজের কাজ অর্ধেক করেই সাজঘরে ফিরলেন সাকিব। রশিদ খানের সোজা ডেলিভারীতে এলবিডব্লিউ হন ৩২ রান করা সাকিব। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৭৯। 

মিথুনের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে চাপের মুখে নেমে দলকে উদ্ধার করতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। পরের ম্যাচে আর পারলেন না মোহাম্মদ মিথুন। গুলবাদিন নাইবের বলে প্লেড-অন হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান (২)। তখন ৪৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

টিকলেন না মুমিনুলও

সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে ভালো করতে পারলেন মুমিনুল হক। গুলবাদিন নাইবের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৭ বলে করেছেন ৯ রান। আফগানিস্তান উইকেটটা পেয়েছে অবশ্য রিভিউ নিয়ে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৩৯।

পারলেন না লিটনও

আগের ওভারেই ওপেনার সঙ্গীকে হারিয়েছেন। পরের ওভারে ফিরে গেলেন লিটন দাস নিজেও। আফতাব আলমের ইন-সুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নষ্ট করেছেন বাংলাদেশের একমাত্র রিভিউও। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাক মারা লিটন এবারও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। করলেন ১৪ বলে ৬। তখন ১৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা মুমিনুল হক।

উইকেট উপহার দিলেন শান্ত

অভিষেক ওয়ানডে, ভালো কিছু করে দেখানোর দারুণ সুযোগ ছিল সামনে। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট উপহার দিলেন বাজে শট খেলে। তামিম ইকবালের চোটে সুযোগ পাওয়া শান্ত অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওড়াতে চেয়েছিলেন। লিডিং-এজ হয়ে বল চলে যায় পয়েন্টে। সহজ ক্যাচ নিতে ভুল করেননি আফতাব আলম। ১৩ বলে ৭ রান করে শান্ত ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১৫।

বাংলাদেশের সামনে ২৫৬ রানের চ্যালেঞ্জ

টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডার যা পারেনি, তা-ই করে দেখাল আফগানিস্তানের লোয়ার অর্ডার! ১৬০ রানেই পড়েছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে দুইশ হওয়া নিয়েই শঙ্কা। কিন্তু গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খানের ৯৫ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের স্কোর আড়াইশও ছাড়িয়ে গেল। ৫০ ওভারে আফগানরা করল ওই ৭ উইকেটেই ২৫৫!

শেষ ওভারে মাশরাফিকে চারটি চার হাঁকানোর পথে ৩১ বলে ফিফটি করেন এদিনই ২০ বছরে পা দেওয়া রশিদ। ৩২ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৮ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন নাইব। ৯.১ ওভারে তাদের অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি অষ্টম উইকেটে আফগানিস্তানের রেকর্ড।

১০ ওভারে ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি ৫০ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ৩২ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন।

নাইব-রশিদ জুটির পঞ্চাশ

১৬০ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর মনে হচ্ছিল, দুইশর আগেই গুটিয়ে যাবে আফগানিস্তান। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে দলের স্কোর দুইশ পার করেছেন গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খান। দুজনের জুটিও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। ৪৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৭ উইকেটে ২১২।

 



সাকিবের চতুর্থ

ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মোহাম্মদ নবী (১০)। ৪১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৭ উইকেটে ১৬০ রান।

গলার কাঁটা সরালেন রুবেল

ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। হাশমতউল্লাহ শাহিদি বাংলাদেশের গলার কাঁটাই হয়ে গিয়েছিলেন। সেই কাঁটা সরালেন রুবেল হোসেন। ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯২ বলে ৫৮ রান করেছেন হাশমতউল্লাহ। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৫০।

আবার সাকিবের উইকেট

আবার আফগান শিবিরে আঘাত হেনেছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি (১৮)। ইনিংসে এটি সাকিবের তৃতীয় উইকেট। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৩৯।

সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট

আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগানকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন আসগর। অধিনায়ক ৮ রান করে ফিরে যাওয়ার সময় আফগানিস্তানের স্কোর ৪ উইকেটে ১০১।  

 



এসেই শাহজাদকে ফেরালেন সাকিব

প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। যদিও এই উইকেটে বড় অবদান ছিল অভিষিক্ত আবু হায়দার রনির। লং অন থেকে খানিকটা দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন তিনি। শাহজাদের বিদায়ে ভাঙে ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ৪৭ বলে ৪ চারে ৩৭ রান করেন শাহজাদ। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৭৯।

রনির দ্বিতীয় শিকার

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেলেছিলেন রহমত শাহ। করেছিলেন ৭২ রান। তবে এবার ডানা মেলার আগেই তাকে ফেরালেন আবু হায়দার রনি। অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসারের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১০ রান করা রহমত। ইনিংসে এটি রনির দ্বিতীয় উইকেট। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ২ উইকেটে ২৮ রান।  

প্রথম ওভারেই উইকেট রনির
আবু হায়দার রনির আগের দুই বলে টানা দুই চার মেরেছিলেন এহসানউল্লাহ। পরের বলেই আফগান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন রনি। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বলে কাভারে সরাসরি মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ রান করা এহসানউল্লাহ। ওয়ানডে অভিষেকে প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেলেন রনি। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ১ উইকেটে ১০ রান।   

 



ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগান। অর্থাৎ আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ।

নিয়ম রক্ষার ম্যাচ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দুই দলের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আবুধাবিতে আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এই ম্যাচের ফল অবশ্য সুপার ফোরে কোনো প্রভাব ফেলবে না। গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই সুপার ফোরের বিতর্কিত সূচি ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। যেখানে আগামীকাল বাংলাদেশ দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলবে, আর আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।

তিন পরিবর্তনের বাংলাদেশ
তামিম ইকবাল চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ায় আজ বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন অনুমিতই ছিল। তামিমের জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর। পরপর দুই দিন ম্যাচ থাকায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পাঁজরের চোটে ভোগা মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। মুশফিকের জায়গায় খেলছেন মুমিনুল হক। মুমিনুল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে। মুস্তাফিজের জায়গায় অভিষেক হয়েছে আবু হায়দার রনির।

 



বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল, লিটন, সাকিব, মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, মিথুন, মাশরাফি (অধিনায়ক), মিরাজ, রুবেল, রনি।

আফগানিস্তান একাদশ
শাহজাদ, এহসানউল্লাহ, রহমত, আসগর (অধিনায়ক), হাসমতউল্লাহ, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ, গুলবাদিন, রশিদ, আফতাব, মুজিব।

মাশরাফির চার উইকেটের অপেক্ষা
আর ৪ উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ২৫০ ওয়ানডে উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই ম্যাচের আগে মাশরাফির উইকেটসংখ্যা যদিও ২৪৭টি। এর মধ্যে ২৪৬টি নিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। একটি উইকেট নিয়েছিলেন ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়