ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দিনশেষে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১০, ৩০ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দিনশেষে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষ হয়েছে। দিনশেষে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২৪৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। স্পস্টতই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে রয়েছে। আর প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

দিনের শেষ বলে আউট হন মোহাম্মদ শহিদ (১)। অপরাজিত আছেন নাসির হোসেন (১৩)। দ্বিতীয় দিনের তিনি আবার ব্যাট করতে নামবেন। সঙ্গে নামবেন মুস্তাফিজুর রহমান।

 

প্রথম দিনে বাংলাদেশের যে আটটি উইকেটের পতন ঘটেছে তার মধ্যে রয়েছেন তামিম ইকবাল (৬), মুমিনুল হক (৪০), ইমরুল কায়েস (৩০),  মাহমুদউল্লাহ (৩৫), মুশফিকুর রহিম (৬৫), লিটন দাস (৩), সাকিব আল হাসান (৩৫) ও মোহাম্মদ শহিদ (১)।

 

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার বেশ দেখেশুনেই খেলে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেনের বলে নিজের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। ওই ওভারের শেষ বলে একবার জীবন ফিরে পান তামিম। স্লিপে তামিমের ক্যাচ ফেলেন ডিন এলগার।

 

তবে নিজের পরের ওভারে এসেই তামিমকে বিদায় করেন স্টেইন। প্রথম স্লিপে হাশিম আমলার হাতে ধরা পড়েন ৬ রান করা তামিম। আর তামিমকে ফিরিয়ে টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন স্টেইন। শন পোলকের পর দ্বিতীয় প্রোটিয়া বোলার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি।

 

শুরতেই তামিমকে হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইমরুল। আর এই দুজনের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ইমরুল-মুমিনুলের অর্ধশত রানের জুটিতে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২৯ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৭৫ রান। 

 

 

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল-ইমরুল। বিরতির পর খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে জেপি ডুমিনির বলে বিদায় নেন মুমিনুল। উইকেটের পেছনে ডেন ভিলাসের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ৪০ রান করেন এই বাঁহাতি। ইমরুল-মুমিনুল জুটিতে আসে ৬৯ রান। মুমিনুলকে ফেরানোর পর নিজের পরের ওভারে এসে ইমরুলকেও বিদায় করেন ওই ডুমিনি। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ইমরুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। 

 

মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে মুমিনুল ও ইমরুলের বিদায়ে বেশ চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। প্রোটিয়া বোলারদের বলে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় চারের মারও মারেন দুজন। চা বিরতির আগে তাদের ব্যাটেই ১৫০ পার করে বাংলাদেশ।

 

বিরতি থেকে ফিরে ক্যারিয়ারের ১৫তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। তাকে মাহমুদউল্লাহ বেশ ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৮০ রানে স্টেইনের বলে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। বাভুমাকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।

 

দলীয় ২১৫ রানের মাথায় বিদায় নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। ডিন এলগারের বলে উইকেট রক্ষন ডেন ভিলাসের হাতে ধরা পরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ২২০ রানে জেপি ডুমিনির বলে এলগারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন দাস। এটা ডুমিনির তৃতীয় শিকার। এরপর সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মর্নে মরকেলের বলে আউট হন। দিনের শেষ বলে স্টেইন আউট করেন মোহাম্মদ শহিদকে। তিনি সরাসরি বোল্ড হয়ে যান।

 

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাইজুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাসির হোসেন। প্রায় দশ মাস পর টেস্ট একাদশে জায়গা পেলেন নাসির। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও রয়েছে একটি পরিবর্তন হয়েছে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি ককের পরিবর্তে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন ডেন ভিলাস।

 

এর আগে চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। ফলে ঢাকা টেস্ট সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। 
 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৫/পরাগ/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়