ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নতুন রুপে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সাফিউল ইসলাম সাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নতুন রুপে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সাফিউল ইসলাম সাকিব, সাভার : নতুন রুপে সেজেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।  রং তুলির আঁচরে পাল্টে গেছে পুরো স্থাপনার চিত্র। বাহারি ফুলে তৈরি হয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য্য।

 

বিজয় দিবসকে ঘিরেই সব আয়োজন। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটি উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভরে উঠবে শহীদ বেদী।  জাতির শ্রদ্ধা আর ভালবাসা গ্রহণে প্রস্তত মহান এই স্থাপনা।

 

বাঙ্গালির অহংকার আর বীরত্বের প্রতীক এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সাভারে অবস্থিত স্মৃতির এ মিনারকে ঘিরে টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। অর্ধ শতাধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলেন ধোয়া-মোছার কাজে। লাল-নীল-সাদা রংয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি ইট। ফুলের টবেও লেগেছে রংয়ের ছোয়া। নান্দনিকতা বাড়াতে বাদ যায়নি বাগানের ঘাষও। ঘাষের আঁগাগোড়া ছেটে বাড়ানো হয়েছে বাগানের সৌন্দর্য্য। 

 

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাভার অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ দিন ধরে স্মৃতিসৌধে ধোয়া-মোছা ও রং লাগানোর কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সমস্ত কাজ শেষ করেছি।’

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই জাতীয় সংসদের স্পিকার, ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল, কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। 

 

এদিকে ১২ ডিসেম্বর থেকে স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্মৃতিসৌধ এলাকায় তৎপর রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। 

 

এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে এবার বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এজন্য পুরো স্মৃতিসৌধকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে কয়েকটি উচু ওয়াচ টাওয়ার। ১৬ ডিসেম্বর সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো এলাকা। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী। সাদা পোশাকেও নজরদারি করবে গোয়েন্দারা।

 

এদিকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর চূড়ান্ত মহড়া শেষ করেছে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল। এক সপ্তাহ ধরে শহীদ বেদীর সামনে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর চূড়ান্ত মহড়া পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ওয়াকার-উজ-জামান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেশে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন দুজন সেনা কর্মকর্তা। মোটর শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে সব কিছুই এই মহড়ায়। 

 

 

 

রাইজিংবিডি/সাভার/১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/সাফিউল ইসলাম সাকিব/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়