'শেখ হাসিনা বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদেরও হার মানিয়েছেন'
নাসির || রাইজিংবিডি.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার সমকক্ষ আর কেউ নেই। তিনি যোগ্যতা, বুদ্ধিদীপ্ততা, বিচক্ষণতায় বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদেরও হার মানিয়েছেন। শেখ হাসিনার “রাষ্ট্রনায়ক” উপাধিতে যারা হাসি-ঠাট্টা করেছিলেন, তারাই আজ হাসি-ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হয়েছেন।’
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা, 'সময়রেখায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কারিশমাকে শুধু অতিক্রম করেন নাই, নিজ দক্ষতায় তিনি আওয়ামী লীগকেও অতিক্রম করেছেন। বাংলাদেশের পরিবর্তনের মূল কারিগর শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে আজ বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা এবং সদ্য প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম পুরুষ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তার মৃত্যু আমাদের শিল্প-সাহিত্যের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। কৃতজ্ঞ ও বেদনার্ত চিত্তে আমরা তাকে বিদায় অভিবাদন জানাই।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘কেন আমরা প্রকাশনা বের করি? বর্তমানকে সমৃদ্ধ করে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাকে শিখিয়েছেন ও বুঝিয়েছেন, একটি রাজনৈতিক সংগঠনের তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ- গবেষণা, প্রকাশনা ও অনুবাদ। আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারা বিশ্বে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে। কিন্তু এসব কাজে আমরা তেমন নজর দিচ্ছি না। আমরা একই সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যতের মানুষ। বর্তমানকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে হবে।’
সভার শুরুতে কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন, যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা এবং সদ্য প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত ও মিলাদ পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাশেম।
মিলাদ মাহফিল শেষে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য আরো রাখেন- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
সভা শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে, কাকরাইল মোড়, কমলাপুর রেল স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাঁচটি ট্রাকে করে ৫০ হাজার প্যাকেট মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/নাসির/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন