ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২৯ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে

হাঙ্গেরি যাওযার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। এ কারণে আশখাবাদে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি করতে হয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের। ইঞ্জিনিয়াররা ত্রুটি মেরামত করার পর আশখাবাদ থেকে বিমানটি বুদাপেস্ট যাত্রা করে।

 

বিমান সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট ‘রাঙ্গা প্রভাত’ সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের উদ্দেশে যাত্রা করে। মাঝপথে আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় বিমান। বিমানের পাইলট এই ত্রুটিকে ‘বিপজ্জনক কিছু নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই ভিভিআইপি ফ্লাইটে কেন ত্রুটি দেখা দিল? প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটি ঘটবে কেন?

 

বিমানের বাঁ পাশের ইঞ্জিনের ইঞ্জিন অয়েল কমে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিমান সূত্রে আরো বলা হয়, কয়েকটি নাট-বোল্ট টাইট দেওয়াতেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে দেশের সরকারপ্রধানকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনের নাট-বোল্ট ঢিলা হয়ে যায় কিভাবে? ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় এমন একটি ঘটনা থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না।

 

যেহেতু ভিভিআইপি ফ্লাইট তাই যাত্রার আগে নিশ্চয়ই ভালভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।  তাহলে এই বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও মাঝপথে আকাশে ত্রুটি দেখা দিবে কেন? এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এখন এই প্রশ্নও সামনে চলে আসছে যে, তাহলে প্রতিদিন যেসব বিমান ভিভিআইপি নয়, সাধারণ যাত্রী বহন করে বিভিন্ন রুটে, সেগুলোর কী অবস্থা আর কতটাই বা নিরাপদ সেসব যাত্রা?

 

এর আগে, এ বছরের ৮ জুন সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করার মুহূর্তে ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে ধাতবের ন্যায় বস্তু দেখতে পান পাইলট। তিনি বিমানটি অবতরণ না করিয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোলে যোগাযোগ করেন। আর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান তখন আকাশে চক্কর দিতে থাকে। সংশ্লিষ্টরা সেই ধাতব বস্তু সরানোর পর বিমান অবতরণ করে। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরখাস্ত করা হয় বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোলের দুই কর্মকর্তাকে।

 

জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কথা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের এই ত্রুটির কারণে সে বিষয়টি নতুন করে আবার সামনে চলে এলো। এজন্য বিমান কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হবে। কারো অবহেলা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে দোষীদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে কেন এ ধরনের ত্রুটি দেখা দিল, তার সঠিক তদন্ত অবশ্যই হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

 

 

রাইজিংবিডি/২৯ নভেম্বর ২০১৬/এনএ/টিআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়