ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে

হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে

হাসান মাহামুদ : টানা একমাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কিছুটা কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দাম। কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ, গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিনের দামও বেড়েছে। স্থির রয়েছে সবজির দাম।

 

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে তাদের এ সব পণ্য কিনতে হচ্ছে। তাই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।

 

এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ার দাবি করলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। পাম অয়েলের দাম বৃদ্ধির এক সপ্তাহের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা সয়াবিন ৮৩ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা পর্যন্ত।

 

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ আগেও খোলা সয়াবিন তেল ৭৪ থেকে ৭৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

 

রাজধানীর কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজিতে  কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁকরোল ও করলা ৬০-৬৫ টাকা, টমেটো ৮০-৯০, ঢেঁড়স ৫০, বেগুন ৭০, শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বরবটি ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৫০, আমদানি করা কাঁচামরিচ ১৬০-২০০ আর দেশি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৫০, ঝিঙা ৬০, পটোল ৫০ ও আলু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

ক্রেতাদের অভিযোগ, একবার জিনিসের দাম বাড়লে তা আর কমে না। এ জন্য সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকি বাড়ানোর দাবি করেন তারা।

 

শান্তিনগর বাজারে আসা একটি বেসরকারি সংস্থার চাকুরে আফজাল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো বিশ্বের এক আজব দেশ। এখানে সবকিছু যার যার ইচ্ছেমাফিক চলে। একবার সবজির দাম বাড়লে, তার দাম আর কমে না।’

 

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রতন মিয়া বলেন, ‘বন্যায় প্রচুর সবজি নষ্ট হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।’

 

এদিকে প্রায় ছয় মাস ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় স্থির থাকার পর কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়।

 

এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আরাফ হোসেন জানান,  বেপারিদের কাছ থেকে কিছু গরু পাচ্ছি। একই সঙ্গে মানুষ গরুর মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। চাহিদা কম থাকলে অনেক সময় কম দামে বিক্রি করেতে হয়।

 

কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা হলেও শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোট ছোট বাজারে মুরগির মাংস ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। ওজনভেদে পাকিস্তানি কক ২০০ থেকে ২৫০, দেশি মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকায়।

 

নিয়মিত বাড়তে থাকার পর পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। প্রতি  কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আর ছোট আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ (দেশি পেঁয়াজ বলে বাজারে বিক্রি করা হয়) প্রতি কেজি ৭০ টাকা। ভারতীয় রসুন ১২০ ও দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

 

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও তেলের দাম। প্রতি কেজি সাধারণ চাল বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৩৮ থেকে ৫০ টাকায়, নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৪৩ থেকে ৫৭ টাকা, পাইজাম ও লতা ৪৩ থেকে ৪৮ টাকা ও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩১  থেকে ৩৪ টাকায়। প্রতি কেজি মসুর ১০০ থেকে ১৩০ ও অ্যাংকর ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ৮০ ও পাম অয়েল বিক্রি হয় ৭৫ টাকায়। বোতলজাত সয়াবিন ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সরিষার তেল বিক্রি হয় ১১০ টাকা কেজি দরে।


 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/হাসান/ উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়