ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাইকারি বিক্রিতে এগিয়ে শার্টের কাপড়

মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ২৮ জুন ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাইকারি বিক্রিতে এগিয়ে শার্টের কাপড়

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন : দেশের বৃহৎ পাইকারী মার্কেট ইসলামপুর কাপড়ের পাইকারী মার্কেটে প্যান্টের কাপড়ের চেয়ে শার্টের কাপড় বিক্রিতে এগিয়ে।  

তবে সেখানকার অলিগলি এবং মার্কেটে মানুষের পদচারণায় জমজমাট দেখা গেলেও হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, মূলত গত ৩ বছর ধরে ইসলামপুর পাইকারি মার্কেটে আগের মতো জমজমাট দেখা যায় না। ক্রেতা কম ফলে বেশিরভাগ সময় অলস সময় পার করতে হয়। অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা জমি বিক্রি করে মহাজনের দেনা পরিশোধ করেন।

রোববার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানেই কমবেশি ক্রেতা সমাগম। বিক্রিও চলছে মোটামুটি ভালো। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন লোক সমাগম থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতা নেই।

বিসমিল্লাহ ক্লোথ স্টোরের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন রাইজিংবিডির কাছে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, গত তিন বছরের চেয়ে এবারের বিক্রি সর্বনিন্ম। বিক্রি হলে শবে বরাতের পর থেকে ১৫ রমজান পর্যন্ত বিক্রি হয়। তারপর আর তেমন বিক্রি হয় না।

তিনি জানান, বিক্রির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে শার্টের কাপড়ের। প্যান্ট বিক্রি কম। এছাড়া এখন মানুষ রেডিমেড কাপড়ের দিকে বেশি ঝুঁকছে। কারণ রেডিমেড কাপড়ে খরচ কম। একটা প্যান্টের পিস ৬০০ টাকায় কিনে আবার সেলাই করতে লাগে ৬০০ টাকা। তাই অনেকে ৬০০ টাকা দিয়ে একটি রেডিমেড প্যান্ট কিনে ফেলে।

মেসার্স শাহ্ আমানত ফেব্রিক্সের সত্বাধিকারী হাফেজ মো. ছানাউল্লাহ বলেন, সারাদিন ২-৩ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করতে পারি না। তিনি বলেন, গত তিন মাসের হরতালে অনেক কর্মচার কে চাকরিচ্যুত করতে হয়েছে। খুব কষ্ট করে টিকে আছি।

স্টার ফেব্রিক্সের জাহিদুল আলম উজ্জল বলেন, শুধুমাত্র ঈদ সামনে রেখে আমাদের ব্যবসার টার্গেট থাকে না। আমাদের ব্যবসা হয় সারা বছর। তবে ঈদে বিক্রি একটু বেশি হবে এমন আশায় থাকি। মূলত আমাদের টার্গেট শীতের মৌসুম (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) মাস পর্যন্ত। এই সময়টায় বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু গত দুই বছর যাবৎ এই সময়টাতে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক ছিল না। ফলে ব্যবসার অবস্থাও ভালো না।

বিসমিল্লাহ কর্ণারের শেখ মো. মাসুদেরও একই কথা। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসলে ব্যবসায়ীদের অবস্থা ভালো হবে না। ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা না দিলে দেশের পরিবর্তন হবে না। এভাবে চলতে পারে না। আমরা কিভাবে চলব যদি ব্যবসার অবস্থা এমন হয়। আমার একটা কথা- সরকার যেই আসুক সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই, আমরা কি চাই তা দেখতে হবে সবার আগে।

বাগদাদ ট্রেডিংয়ের আবু হাসান (আকাশ) বলেন, বিক্রি আগের চেয়ে একটু ভালো। সামনে বিক্রি বাড়বে বলে আশা।

তবে নাম না প্রকাশ করা শর্তে রিয়া এন্টারপ্রাইজের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, বিক্রি অনেক ভালো। মালিকেরা বিক্রি নেই এটা বলবেই। মালিকেরা প্রতিদিন ২ কোটি টাকা বিক্রি হলেও বলবে বিক্রি ভালো না; ক্রেতা নেই। তবে প্রকৃত কথা হচ্ছে বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।

পাইকারী দোকান ছাড়িয়ে খুচরা দোকান গুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের বেশ আনাগোনা। এই বিক্রি ১৫ রমজান পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সার্বিক বিক্রি আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক ভালো বলে জানান তারা।

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জুন ২০১৫/মামুন/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়