প্রকাশকদের অভিযোগ আমলে নেননি বাংলা একাডেমির ডিজি
ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন বিষয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমিকে ১২ দফার অভিযোগপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি। তবে অভিযোগগুলো আমলে নেননি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির পাঠানো চিঠিটি মঙ্গলবার বাংলা একাডেমিতে এসে পৌঁছায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ওসমান গণি।
জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, তারা যেসব বিষয়ে অভিযোগ করেছে ইতিমধ্যে সেসব বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলছে। কিছু সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ মেলা সবার।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের কাজ শুধু অভিযোগ দেওয়া। তারা যদি মেলাকে নিজেদের মেলা মনে করে আমাদের সহযোগিতা করতন, তাহলে সমস্যা অনেক কমে যেতো।
চিঠিতে উল্লিখিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি; ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রি; বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অপ্রকাশক বিভিন্ন এনজিওকে বরাদ্দ দেওয়া; মেলার আরেক অংশ সোহরাওয়ার্দীতে সিসিমপুর প্রকাশনার পুরো স্থান দখল; মেলার কিছু অংশে রাতের বেলায় আলোর সংকট; পানির ব্যবস্থা না থাকা; মেলার প্রবেশদ্বার তিনটি হলেও দুটো দ্বার দিয়েই প্রবেশ; ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে পানির ব্যবস্থা না থাকা; পানি দেওয়া নিয়ে বৈষম্য; বিভিন্ন ইউনিটের স্টলের অবকাঠামো তৈরিতে সমন্বয়হীনত; গুচ্ছ স্টল সমন্বয় না করা; স্টলের ক্রম ধারাবাহিকতা না থাকা ইত্যাদি।
এছাড়া প্রতিবছর লটারির আগে নম্বর বসানো হলেও এবার তার উল্টোটা হয়েছে। এতে সমস্যা হয়েছে। অনেকে এখনও বাংলা একাডেমিকেই মেলার মূল অংশ মনে করেন, কিন্তু তাদের সে ধারণা ভুল হয় ভেতরে ঢুকে। এটি সমাধানের জন্য টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে মাল্টিমিডিয়া স্থাপন করা দরকার।
স্টলের বিন্যাসের ক্ষেত্রে বড় ও প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনীগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ইয়ামিন/রহমান
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন