ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

প্রধান আসামি সুমনসহ গ্রেফতার ২

শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধান আসামি সুমনসহ গ্রেফতার ২

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মা ও শিশু। ইনসেটে গ্রেফতারকৃত সেন সুমন (ছবি : শাহীন)

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে গৃহবধূ নাজমা বেগম ও তার গর্ভের শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজন গ্রেফতার হয়েছে।

 

এর মধ্যে রোববার র‌্যাব-৪ ঢাকার কল্যাণপুরে এক বন্ধুর বাসা থেকে ছাত্রলীগ নেতা সেন সুমনকে (৩৫) গ্রেফতার করে। এদিকে একই দিন সন্ধ্যায় মাগুরার শ্রীপুরের ওয়াপদা এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে নজরুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুমন মামলার প্রধান আসামি এবং মাগুরার কলকলিয়াপাড়ার শিবু সেনের ছেলে।

 

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

তবে মাগুরার পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ সুমনের গ্রেফতারের ঘটনাটি শুনেছেন, কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান। এদিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রোস্তম আলী জানান, সুমনকে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল তার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছেন।

 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম জনান, সুমনকে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ প্রশাসন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছেন না। এটা দুঃখজনক। সুমন এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামালায় আসামি করা হয়েছে।  

 

মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়াপদা এলাকায় ঈগল পরিবহণের যাত্রীবাহী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ডিবি পুলিশ নজরুলকে গ্রেফতার করে।

 

মামলার ১৩ নম্বর অাসামি নজরুল ঢাকা থেকে পালিয়ে খুলনা যাচ্ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নজরুল শহরের দোয়ারপাড় এলাকার হোসেন কারিগরের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসের চালক।

 

এর আগে পুলিশ ২৬ জুলাই রাতে মামলার ৫ নম্বর আসামি চা দোকানি সুমন ও ১৪ নম্বর আসামি পাড়ার মুদি দোকানি সোবহানকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে।

 

প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় প্রাক্তন ছাত্রলীগকর্মী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে প্রাক্তন যুবলীগ কর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), তার চাচাশ্বশুর আবদুল মমিন (৬০) এবং মিরাজ (৩০) নামে অপর এক যুবক আহত হন। এদের মধ্যে আবদুল মমিন ঘটনার পর শনিবার (২৫ জুলাই) ভোররাতে মারা যান।

 

এদিকে গর্ভস্থ সন্তান গুলিবিদ্ধ হওয়ার এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুই দিন পর তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। যেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় শিশুটিকে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পর গত ৩০ জুলাই মা নাজমা বেগমকে ঢাকায় শিশুটির কাছে পাঠানো হয়।

 

বন্দুকযুদ্ধে নিহত আবদুল মমিনের ছেলে রুবেল হোসেন গত ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ছাত্রলীগের প্রাক্তন কর্মী আজিবর, মোহম্মদ আলী, জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সেন সুমনসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে করা হয় হুকুমের আসামি।




রাইজিংবিডি/৩ আগস্ট ২০১৫/শাহীন/নওশের/র‌ণজিৎ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়