ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার শুরু ১২ ডিসেম্বর

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার শুরু ১২ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ ডিসেম্বর (বুধবার) নিজের সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া) থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের পর তাঁর নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করবেন তিনি।

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা শুরু করবেন। প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এই বক্তৃতা শেষ করে আবারও দুপুরেই কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে নানক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ব্যালটের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিরুদ্ধে রায় দেবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদতদাতা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দেবে। দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, অর্থপাচারকারী, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দেবে।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত হয়েছে এবং ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী, পলাতক তারেক রহমান এই মনোনয়ন বাণিজ্য চালিয়েছে। তাহলে দেশবাসীর প্রশ্ন, বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে দেশ থেকে কতো টাকা পাচার হয়েছে? আর এই টাকা আগামী নির্বাচনে ব্যবহার হলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ড. কামাল হোসেন সাহেবরা উল্লেখ করে নানক বলেন, এসব ব্যক্তি স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, দুর্নীতিবাজ সংগঠন, আগুন সন্ত্রাস, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ও চার নেতার খুনিদের পক্ষ অবলম্বন করছে। ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের ভাঁওতাবাজির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বর্ণচোরা রাজনীতিবিদরা জনগণের রায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী  ইশতেহার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর প্রকাশ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/নূর/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়