ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘প্রশাসনের অবহেলায় সংখ্যালঘু নির্যাতন’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রশাসনের অবহেলায় সংখ্যালঘু নির্যাতন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলার জন্য প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করছেন সংখ্যালঘু নেতারা৷

 

তাদের অভিযোগ, পুলিশকে একদিন আগে হামলার আশঙ্কার কথা জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷

 

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের ছাতক, খুলনার মহেশ্বর পাশার ঋষিনগরসহ ১৮টি মন্দিরে হামলা ও তিন শতাধিক হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজ, অরাজকতা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা এ অভিযোগ করেন।

 

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি।

 

সমাবেশে বক্তরা বলেন, ‘বিভেদ নয়, শান্তি চাই, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। জামায়াত-শিবিরের ইন্ধনে একজন নিরাপরাধ মানুষের নাম ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই।’

 

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টির চেয়ারম্যান মিঠুন চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসনের চরম অবহেলার কারণে বারবার সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে দিনদুপুরে হামলা আবারো সেই একাত্তরকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’

 

মিঠুন চৌধুরী আরো বলেন, ‘একদল উগ্রবাদী জনতা মিছিল সহকারে নাসিরনগরসহ দেশের প্রায় ১৮টি মন্দিরসহ তিন শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তখন প্রশাসনের নীরবতা আমাদের আরো আতঙ্কিত করে তোলে। কার স্বার্থে কার ইঙ্গিতে এই তাণ্ডবলীলা চালানো হলো জাতি আজ জানতে চায়।’

 

এত কিছুর পরও প্রশাসন এখনো নীরব, উল্লেখ করে মিঠুন চৌধুরী বলেন, ‘হাজার হাজার লোক মিছিল নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালো সেখানে গ্রেপ্তার হলো মাত্র নয়জন। এভাবে হামলাকারীরা পার পেয়ে যাওয়ায় বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে।’

 

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন দেব দুলাল সাহা, পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দেবাশিষ সাহা, শ্রী দীপক গুপ্ত, সুনীল মল্লিক প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ নভেম্বর ২০১৬/আরিফ সাওন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়