ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সু চির বৈঠক বুধবার

রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সু চির বৈঠক বুধবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লেইংয়ের সঙ্গে আগামী বুধবার গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সাং সু চির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

 

নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের পর সরকার ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে এটি সু চির প্রথম বৈঠক। এর আগে প্রেসিডেন্ট সেইন সর্বদলীয় একটি বৈঠকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে অঙ্গীকার করেছিলেন।

 

দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেই পি তাও-এ বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট ও সু চি বৈঠকে মিলিত হবেন বলে উভয় পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সু চি।

 

বিরোধী নেত্রী সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ আসনে জয়ী করে। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা সংশয় দানা বেঁধে ওঠে। সু চির দল সরকার গঠন করলে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে মত দেয় এনএলডি।

 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নতুন পার্লামেন্ট সু চির এনএলডির সরকার গঠন করার কথা রয়েছে। বাস্তবিক অর্থে পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে থাকবে দেশটির সেনাবাহিনী। কারণ সংবিধান অনুযায়ী ২৫ শতাংশ সেনা সদস্য পার্লামেন্টের মেম্বার থাকবেন।

 

সু চির দল বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করলেও দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না তিনি। কারণ সংবিধানের একটি বিতর্কিত সংশোধী অনুযায়ী কারো স্বামী-সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। সু চির স্বামী ও সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। সু চি যাতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন, এই কারণেই মূলত সংবিধানের এই সংশোধনী। এখন সু চির প্রেসিডেন্ট হতে গেলে নতুন করে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যেহেতু ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে, তাই তাদের সঙ্গে আপোশ করেই যা করার করতে হবে।

 

নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় সু চি পার্লামেন্টের স্পিকার শেই মানসহ অন্যান্য দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাধর সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

 

২০১১ সালে মিয়ানমার আধা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসার পর গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচন ছিল ঐতিহাসিক। পাঁচ দশকের সেনাশাসনে জর্জরিত দেশটি প্রথমবারের মতো একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে।

 

১৯৯০ সালে সু চির দল এনএলডি দেশটির সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলেও সেনাবাহিনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করে। সু চিকে ১৫ বছর কারাগারে রাখা হয়। এনএলডির নেতাকর্মীদের ওপর নেমে আসে অবর্ণনীয় নির্যাতন ও কারাদণ্ড।

 

তথ্যসূত্র : ডয়েশে ভেলে অনলাইন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ নভেম্বর ২০১৫/রহমান     

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়