মুশফিকের সেঞ্চুরিতে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
আবু হোসেন পরাগ: ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ।
মুশফিকের সেঞ্চুরিতেও পারল না বাংলাদেশ
জিততে হলে বাংলাদেশকে ডিঙাতে হতো অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের পাহাড়। মুশফিকুর রহিমের দারুণ সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহ-তামিমের ফিফটির পরও বাংলাদেশ সেই পাহাড় টপকাতে পারেনি। থেমেছে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানে, ৮ উইকেটে। এই বিশ্বকাপেই প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ ছিল আগের রেকর্ড। ৯৭ বলে ৯ চার ও একটি ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ১৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১৭৩ রান। মূলত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে এটিই। ১০ রানে জীবন পেয়ে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/৮
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।
শেষ বলে আউট মাশরাফি
মার্কাস স্টয়নিসের করা ইনিংসের শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন মাশরাফি। ৫ বলে একটি চারে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৬ রান।
মুশফিকের দারুণ সেঞ্চুরি
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকুর রহিম। ৯৫ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে ৯টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এটি তার সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
স্টার্কের শিকার মিরাজ
মিচেল স্টার্কের বলে মিড অনে ডেভিড ওয়ার্নারকে সহজ ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৭ বলে মিরাজ করেন ৬ রান।
গোল্ডেন ডাকের শিকার সাব্বির
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাব্বির রহমান। নাথান কোল্টার-নাইলের অফ স্টাম্পের বল থ্যার্ডম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল ব্যাটের কানায় লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প
পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে তখন ৪৫ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০২ রান। ৮৩ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙল বড় জুটি
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভেঙেছে ১২৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। নাথান কোল্টার-নাইলের বাউন্সার পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহ ৫০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৯ করে ফেরার সময় ৪৫ ওভার ৩ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০২ রান। মুশফিকুর রহিম ৮৩ ও সাব্বির রহমান শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের তিনশ
৪৫ ওভারে দলীয় ৩০০ রান পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ঠিক ৩০০ রান। মুশফিকুর রহিম ৮৩ বলে ৮৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত আছেন। ৫ ওভার থেকে বাংলাদেশকে করতে হবে আরো ৮২ রান।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
নাথান কোল্টার-নাইলকে টানা দুই চার হাঁকানোর পথে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৪টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এবারের বিশ্বকাপে এটি মাহমুদউল্লাহর প্রথম ফিফটি।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটির সেঞ্চুরি
পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। ৮০ বলে পূর্ণ হয়েছে জুটির সেঞ্চুরি।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭৭ রান। মুশফিক ৭৯ বলে ৭৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন। ৪২ বল থেকে বাংলাদেশকে করতে হবে আরো ১০৫ রান।
মুশফিকের ফিফটি
প্যাট কামিন্সকে চার হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৪টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৮ রান। মুশফিক ৫৫ বলে ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ বলে ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। বাকি ১৫ ওভার থেকে বাংলাদেশকে করতে হবে আরো ১৭৪ রান।
লিটনকে থামালেন জামপা
দারুণ খেলছিলেন লিটন দাস। তাকে ফিরিয়েছেন অ্যাডাম জামপা। লেগ স্পিনারের লেগ স্টাম্পের বলটা মিস করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি লিটন।
১৭ বলে ৩ চারে লিটন করেন ২০ রান। তার বিদায়ের সময় ২৯ ওভার ২ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৫ রান। মুশফিকুর রহিম ৩৪ ও মাহমুদউল্লাহ শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
বোল্ড হয়ে ফিরলেন তামিম
মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের বলটা থ্যার্ডম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প।
৭৪ বলে ৬ চারে ৬২ রান করেন তামিম। তার বিদায়ের সময় ২৪ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৪ রান। মুশফিকুর রহিম ২৩ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
তামিমের ফিফটি
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন তামিম ইকবাল। ৬৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৫টি চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে এটি তামিমের চতুর্থ ফিফটি, এবারের আসরে প্রথম।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২০ রান। তামিম ৬৬ বলে ৫১ ও মুশফিকুর রহিম ১১ বলে ১১ রানে অপরাজিত আছেন।
সাকিবের আরেক কীর্তি
আজ ৪১ রান করে এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে সাকিবের মোট রান হয়েছে ৪২৫। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যেকোনো ফরম্যাটে কোনো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে ৪০০ রান করলেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ভালো জুটির পর সাকিবের বিদায়
সাকিব আল হাসানের বিদায়ে ভেঙেছে ৭৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। লেগ স্টাম্পের ওপর মার্কার স্টয়নিসের স্লোয়ার বল লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে।
৪১ বলে ৪ চারে ৪১ রান করেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় ১৮ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান। তামিম ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
তামিম-সাকিব জুটির ফিফটি
দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ৫৪ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। সাকিব উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই শট খেলছেন। তামিম খেলছেন সাবধানে।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৫ রান। তামিম ৪২ বলে ২৭ ও সাকিব ২৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৫৩/১
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সৌম্যর বিদায়ের পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তামিম ৩৫ বলে ২৩ ও সাকিব ১৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। বাকি ৪০ ওভারে বাংলাদেশকে এখনো করতে হবে ৩২৯ রান।
রান আউট সৌম্য
আগের ওভারে মিচেল স্টার্ককে টানা দুই চার মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারে রান আউট হয়ে ফিরলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
প্যাট কামিন্সকে মিড অনে খেলে সিঙ্গেলের জন্য ছুটেছিলেন তামিম ইকবাল। নন স্ট্রাইক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সৌম্যও। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে সৌম্যকে ফিরিয়ে নিজেও ফিরে আসেন তামিম। অ্যারন ফিঞ্চ বল ধরে সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প, সৌম্য আর ফিরতে পারেননি।
৮ বলে ২ চারে সৌম্য করেন ১০ রান। ৩ ওভার ৫ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ২৩ রান। ১৫ বলে ৮ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। তিন নম্বরে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য
শেষ ওভারে ১৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৮১ রান। বিশ্বকাপে এটি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড সর্বোচ্চ ৩২৮ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশকে তাই গড়তে হবে নতুন রেকর্ড। আগের ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আর বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো বাংলাদেশ এবার অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহে বড় অবদান ডেভিড ওয়ার্নারের। ১০ রানে জীবন পেয়ে ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ৫৩, উসমান খাজা ৮৯ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে করেন ৩২ রান। ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সৌম্য সরকার। মুস্তাফিজুর রহমান ৬৯ রানে নেন একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, ক্যারি ১১*; মাশরাফি ৮-০-৫৬-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৬৯-১, সাকিব ৬-০-৫০-০, রুবেল ৯-০-৮৩-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-০, সৌম্য ৮-০-৫৮-৩)।
আবার খেলা শুরু
বৃষ্টিতে ২৪ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়েছে। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪৯ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান। শেষ ওভারে তারা কত নিতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড়ের পর বৃষ্টি
ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এক ওভার বাকি থাকতে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪৯ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান। মার্কাস স্টয়নিস ৭ বলে ৬ ও অ্যালেক্স ক্যারি ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
শেষ তিন ওভারে অবশ্য বেশি রান তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২৪ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া আর ব্যাটিংয়ে নামতে না পারলে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪৯ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৭৭ রান।
মুস্তাফিজের শিকার স্মিথ
টিকতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ (২ বলে ১)। মুস্তাফিজুর রহমানের লো ফুলটস বলে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি।
তখন ৪৭ ওভার ১ বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫৪ রান। উইকেটে মার্কাস স্টয়নিসের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারি।
খাজাকে ফিরিয়ে সৌম্যর তৃতীয়
আরো একটি উইকেট নিলেন সৌম্য সরকার। তার শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন উসমান খাজা। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা হয় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
ইনিংসে এটি সৌম্যর তৃতীয় উইকেট, এই ওভারে হয়েছে একটি রান আউটও, রান আসে মাত্র ২।
খাজা ৭২ বলে ১০ চারে ৮৯ রান করে ফেরার সময় ৪৬ ওভার ৫ বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৫৩ রান। উইকেটে দুই নতুন ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ও মার্কাস স্টয়নিস।
ঝড় তুলে রান আউট ম্যাক্সওয়েল
আগের ওভারে রুবেল হোসেনকে মেরেছিলেন দুটি চার, দুটি ছক্কা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পরের ওভারে সৌম্য সরকারের প্রথম বল উড়ায় ছক্কায়। পরের বলেই ফেরেন রান আউট হয়ে।
ইয়র্কার বল শর্ট ফাইন লেগে খেলে সিঙ্গেল নিতে ছুটে এসেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। উসমান খাজা ফিরিয়ে দেন তাকে। রুবেল হোসেন বল ধরে সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প, ম্যাক্সওয়াল আর ফিরতে পারেননি।
মাত্র ১০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তার বিদায়ের সময় ৪৬ ওভার ২ বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৫২ রান। উসমান খাজা ৮৯ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিস।
ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে সৌম্যর দ্বিতীয়
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সৌম্যর শর্ট বল আপার কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে রুবেল হোসেনকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১০ রানে জীবন পাওয়া ওয়ার্নার ১৪৭ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১৬৬ রান। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান কোনো ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। সর্বোচ্চ ১৭৮ রানের ইনিংসও ওয়ার্নারের, গত বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ওয়ার্নারের বিদায়ে ভাঙে ১৯২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এর আগে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটিও ভেঙেছিলেন সৌম্য।
ওয়ার্নার ফেরার সময় ৪৪ ওভার ২ বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩১৩ রান। উসমান খাজা ৮৩ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
খাজার ফিফটি, জুটির সেঞ্চুরি
দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন উসমান খাজা। ঠিক ৫০ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে ৪টি চার মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নারের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ছুঁয়েছে শতরান, ৯৯ বলে। এই দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩০ রান। ওয়ার্নার ১২৭ বলে ১১৯ ও খাজা ৫০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত আছেন।
ওয়ার্নারের আরেকটি সেঞ্চুরি
সাকিব আল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১১০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই সময়ে তিনি ৭টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কা। এবারের বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি।
অথচ তিনি ১০ রানেই আউট হতে পারতেন। কিন্তু তার ক্যাচ ফেলেন সাব্বির রহমান। ফিফটির পর তাকে রান আউট করার সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির। ভুলের চড়া মূল্যই দিতে হলো বাংলাদেশকে।
৩৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৯০ রান। ওয়ার্নার ১১২ বলে ১০১ ও উসমান খাজা ৩৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত আছেন।
এসেই জুটি ভাঙলেন সৌম্য
নিয়মিত পাঁচ বোলার ভাঙতে পারছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। ২১তম ওভারে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মিডিয়াম পেসে নিজের প্রথম ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম্য।
অফ স্টাম্পে কিছুটা বাড়তি বাউন্সে লাফিয়ে ওঠা বলে শর্ট থার্ডম্যানে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন ফিঞ্চ। এটি সৌম্যর দ্বিতীয় ওয়ানডে উইকেট। ৫১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক করেন ৫৩ রান।
তখন ২০ ওভার ৫ বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২১ রান। ডেভিড ওয়ার্নার ৭৪ বলে ৬২ রানে ব্যাট করছেন। তিন নম্বরে নেমেছেন উসমান খাজা।
ফিঞ্চের ফিফটি
মেহেদী হাসান মিরাজকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। ৪৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। শেষ ১১ ইনিংসে এটি তার অষ্টম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
ওয়ার্নার-ফিঞ্চ জুটির সেঞ্চুরি
শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ৯৯ বলে ছুঁয়েছে জুটির সেঞ্চুরি। এরই মধ্যে ওয়ার্নার তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শুরুতে রানের জন্য সংগ্রাম করছিলেন। একবার জীবনও পান। এরপর বাড়ান রান তোলার গতি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন ফিঞ্চ।
নতুন বলে বোলিং শুরু করেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান। পরে রুবেল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে এনেও জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।
১৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০১ রান। ওয়ার্নার ৬১ বলে ৫৪ ও ফিঞ্চ ৪১ বলে ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়ার্নারের আরেকটি ফিফটি
১০ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৫৫ বলে ফিফটি করতে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এবারের বিশ্বকাপে এটি ওয়ার্নারের চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
১৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৮৬ রান। ওয়ার্নার ৫৫ বলে ৫০ ও অ্যারন ফিঞ্চ ৩৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন।
পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার ৫৩
অস্ট্রেলিয়াকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৩৩ বলে ২৬ ও অ্যারন ফিঞ্চ ২৭ বলে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়লেন সাব্বির
শুরুতেই জীবন পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। চতুর্থ ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গিয়েছিল ক্যাচ। তবে সাব্বির রহমান বলটা হাতে জমাতে পারেননি। ১০ রানে জীবন পান ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার তিন পরিবর্তন
অস্ট্রেলিয়া একাদশে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। ফিরেছেন পেসার নাথান কোল্টার-নাইল ও লেগ স্পিনার আডাম জামপাও। বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান শন মার্শ এবং পেসার বেহরেনডর্ফ ও কেন রিচার্ডসন।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান কোল্টার-নাইল, প্যাট কামিন্স, মিচেলে স্টার্ক, অ্যাডাম জামপা।
প্রথমবার রুবেল-সাব্বির
বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। পিঠের চোটে নেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার জায়গায় এসেছেন রুবেল হোসেন। মোসাদ্দেক হোসেনের কাঁধের চোটে সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির রহমান। রুবেল-সাব্বির দুজনের জন্যই এবারের বিশ্বকাপে এটি প্রথম ম্যাচ।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া চ্যালেঞ্জ
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। আর এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। যারা এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে হার ছাড়া বাকি চার ম্যাচ জিতে দারুণ ছন্দে আছে। অবশ্য বাংলাদেশও সবশেষ ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আর বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে বেশ চাঙা রয়েছে।
২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে কার্ডিফে তখনকার মহাপরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয় সেটি। এরপর অবশ্য সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়াকে আর কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে শুধু একটি টেস্টে বাংলাদেশ হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।
দুই দলের মুখোমুখি সবশেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচই ছিল আইসিসি টুর্নামেন্টে। তবে একটিরও ফল হয়নি। ২০১৫ বিশ্বকাপে হয়নি টসই। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচের মাঝে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে দুই ম্যাচেই পাওয়া একটি করে পয়েন্ট বাংলাদেশের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠতে রেখেছিল বড় ভূমিকা।
আজকের ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এবার সেটি আশীর্বাদ নাও হয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশ চায় ম্যাচটা জিতে দুই পয়েন্ট আদায় করতে। হারলে কিংবা পয়েন্ট হারালে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাবে।
পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমান ম্যাচে দুই জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুন ২০১৯/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন