ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফেলানী হত্যার বিচার : ক্ষুব্ধ ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন

কামরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ৩ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফেলানী হত্যার বিচার : ক্ষুব্ধ ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন

কাঁটাতারে ফেলানীর লাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষ খালাস পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

 

মাসুমের প্রধান কিরীটী রায় বিবিসিকে জানিয়েছেন, আগেই স্থির করা ছিল, বিএসএফের আদালত কী রায় দেবে। এটা লোক দেখানো বিচার হলো।

 

বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) ২০১৩ সালে প্রথমে রায়ে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে পুনর্বিচারের রায়েও ওই আদেশই বহাল রাখেন একই আদালত ও বিচারক।

 

এ রায়ের বিষয়ে পরবর্তী আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এ প্রসঙ্গে কিরীটী রায় বলেন, এখনই সিদ্ধান্ত নিইনি। চিন্তাভাবনা করার পর জানানো হবে।

 

ফেলানীর পক্ষের আইনজীবী কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিঙ্কন বলছেন, তাদের আশঙ্কা ছিল যে বিচারকেরা আগের শুনানিতে ছিলেন, তারাই পুনর্বিবেচনার শুনানিতে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে যদি তারা অন্য কোনো রায় দিতেন, তাহলে তাদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠত। আগের রায় ভুল ছিল- সেটা প্রমাণিত হতো।

 

তিনি আরো বলছেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীটাই নিয়ে নিল। আর সেই দায় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ওপরেও বর্তাল।

 

ভারতীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কথা ঘোষণা করেনি। এই রায়কে অবশ্য বিএসএফের মহাপরিচালকের অনুমোদন পেতে হবে। ভারতের আদালতে এই রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন ফেলানীর পরিবার। বৃহস্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত আলোচনা করে কোর্ট মার্শালের সমতুল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত এই রায় দিয়েছে।

 

পাঁচ সদস্যের আদালতের প্রধান ছিলেন বিএসএফ কর্মকর্তা সি পি ত্রিবেদী। এই পাঁচজনই মূল মামলার আগের শুনানিতে বিচারক ছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জিএসএফসি রায় দিয়েছিল যে অভিযুক্ত বিএসএফ প্রহরী নির্দোষ। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় তার পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক।

 

২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বাবার সঙ্গে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পেরোনোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে  মারা যায় ফেলানী। দীর্ঘক্ষণ তার মৃতদেহ ওই কাঁটাতারেই ঝুলে ছিল।

 

তথ্যসূত্র : বিবিসি।

 


    
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুলাই ২০১৫/কামরুজ্জামান/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়