ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বইমেলায় তারার বই

স্বরলিপি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বইমেলায় তারার বই

স্বরলিপি : প্রতি বছরের মতো ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬। মেলায় নিয়মিত লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি আলো ছড়াচ্ছে তারকাদের লেখা বই। এবারের গ্রন্থমেলায় ডেইলি স্টারের প্রকাশনা সংস্থা থেকে এসেছে আবুল হায়াতের গল্পের বই ‘জলডুবা’। বইটিতে ১২টি গল্প রয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন হায়াতকন্যা অভিনেত্রী-চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত।

 

এর আগে, গ্রন্থমেলায় শিখা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সমকালীন উপন্যাস ‘সাদা এবং হলুদ’, ‘হ্যালো ভাইয়া অভিনয় করতে চাই’ ও নাটকের বই ‘জাতে পাগল তালে ঠিক’।

 

অভিনেত্রী কুসুমশিকদারের লেখা কবিতার বই প্রকাশ করেছেঅন্বেষা প্রকাশ। ‘নীল ক্যাফের কবি’ নামের ওই বইটিতে মোট ৩৪টি কবিতা আছে। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন ধ্রুব এষ। কুসুম ভক্তদের কাছে অজানা নয় যে, তাদের প্রিয় অভিনেত্রীর প্রথম বইটি জিতেছে সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার।

 

গ্রন্থমেলা প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, বই মেলার সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িত। এটি বহন করে চলেছে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস। একজন লেখক তার চিন্তা-দর্শন নান্দনিকভাবে প্রকাশ করে বইয়ের মাধ্যমে। বইমেলায় ইদানিং অনেক তরুণ লেখকদের বই প্রকাশ পাচ্ছে, এটা একটা ভালো দিক। প্রশ্ন উঠছে মান নিয়ে, আমি বলি ওটা নির্বাচন করবে পাঠক। যিনি লিখছেন তার নান্দনিক বোধটুকু থাকলেই হলো। তরুণ লেখক-পাঠকদের অভিবাদন।

 

কুসুম শিকদার বলেন, একটা বিষয়ের আবেদন প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে একটু ভিন্ন হয়। কিন্তু বইমেলা হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে একই। এ মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। তাই এটা যত সম্প্রসারিত হবে তত বেশি মেলবন্ধন তৈরি হবে লেখক-পাঠকের মধ্যে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে বইমেলার আয়োজন যদি করা যেত, শুধু এই মেলাকে কেন্দ্র করে হলেও মানুষের সাহিত্যের ভেতর দিয়ে সত্য চর্চা বেড়ে যেত।

 

শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, এটা আমাদের অনেক গর্বের এক মেলা। আর এই মহান উদ্যোগ এ দেশের মানুষ আরো আগেই নিয়েছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। এই মেলার মাধ্যমে পাঠক এবং লেখকের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়। এখন বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সাহিত্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটুকু প্রবেশ করতে পারছে? এ দেশের সাহিত্যকে যদি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হয় তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে। সাহিত্য বিষয়ক টক শো- লেখক আড্ডা- বিদেশি লেখকদের আমন্ত্রণ জানানো এই জায়গাগুলোতে আরো একটু কাজ হওয়া দরকার। বই মেলাতে বিদেশি খ্যতিমান লেখকেদের আমন্ত্রণ জানানো উচিত। তাতে পরস্পরকে জানার পথ উন্মুক্ত হবে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/স্বরলিপি/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়