ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বলিউড সিনেমায় ভিন্ন ধারার ভালোবাসা

মারুফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বলিউড সিনেমায় ভিন্ন ধারার ভালোবাসা

ছবির কালাজ

বিনোদন ডেস্ক : ভালোবাসা এমন এক অনুভূতি যা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারণ ভালেবাসার সংজ্ঞাটা একেকজনের কাছে একেক রকম। বলিউড সিনেমাতেও বিভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে ভালোবাসাকে।

 

এক সময় বলিউড সিনেমায় ভালোবাসা মানে দেখানো হতো দুটি ছেলে মেয়ের দেখা হবে, তারপর প্রেম। এরপর মা-বাবা তা মেনে নেবে না। শেষ পর্যন্ত হয়তো মিল হবে অথবা হবে না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে এসেছে পরিবর্তন। কিছু কিছু সিনেমায় ভালোবাসাকে দেখানো হয়েছে একটু ভিন্নভাবে। বলিউডের এমন ভিন্ন ধারার ভালোবাসা নিয়ে নির্মিত সিনেমা নিয়েই আজকের এ প্রতিবেদন।   

 

গুজারিশ : সিনেমার গল্প একজন কোয়াড্রিপ্লেজিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে। সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশান। সিনেমায় তিনি একজন সাবেক ম্যাজিশিয়ানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যিনি কোর্ট থেকে আত্মহত্যা করার জন্য অনুমতি আবেদন করেছেন। অন্যদিকে তার কেয়ারটেকার সোফিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। যিনি তাকে দেখা-শোনার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। সিনেমায় তাদের ভালোবাসাটা দেখানো হয়েছে একটু অন্যভাবে। সোফিয়া তাকে ভালোবাসে কিন্তু হৃতিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে তাকে হত্যা করতেও প্রস্তুত তিনি।  

 

বারফি : এতে ভালোবাসাকে দেখানো হয়েছে নিঃস্বার্থ, সহজ এবং সুন্দরভাবে। সিনেমায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বারফির প্রতিশ্রুতি এবং ঝিলমিলের ভালোবাসাকে। ঝিলমিল শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি। সে নিজের ভালোবাসাকে ঠিক মতো প্রকাশ করতে পারে না। অন্যদিকে বারফি বোবা ও বধির। কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তাদের ভালোবাসা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে দর্শকদের। অন্যদিকে বারফির প্রতিশ্রুতির ভালোবাসাও ছিল অন্যরকম। সিনেমার শেষ দিকে যখন বারফিকে নিয়ে শ্রুতির কলকাতায় চলে যাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু তা না করে সে বলে দেয় ঝিলমিল তার জন্য অপেক্ষা করছে। এই আত্ম ত্যাগই ভালোবাসার অন্য একটি রূপ। সিনেমায় শ্রুতি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইলিয়েনা ডি ক্রুজ। ঝিলমিল এবং বারফি চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং রণবীর কাপুর।

লাঞ্চবক্স : ভালোবাসা এবং সঙ্গ বিষয়গুলোকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লাঞ্চবক্স সিনেমাটিতে। যদিও সিনেমার মূল দুই চরিত্রের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় না। ইলা একজন গৃহিণী। সে তার গৃহস্থালি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে অন্য চরিত্র সাজন। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান। সে তার অফিসের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। লাঞ্চবক্সে চিরকুট আদান প্রদানের মধ্যে দিয়ে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। এক সময় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। ইরফান ইলার প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ অনুভব করে। দুজন পরিণত মানুষের ভিন্ন ধারার এ ভালোবাসা দেখানোর জন্য সিনেমাটি খুবই প্রশংসিত হয়েছিল। সিনেমাটি বলিউডে নিমরাত কৌরের ক্যারিয়ারে বিশেষ প্রভাব ফেলে।

       

হাইওয়ে : ইমতিয়াজ আলীর আরো একটি অনবদ্য সিনেমা হাইওয়ে। দিল্লিতে বেড়ে ওঠা একটি মেয়ে বীরা। কিছুদিন পরই তার বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু তখনই তাকে কিডন্যাপ করে মহাবীর নামে স্থানীয় একজন গুণ্ডা। রণদীপ হুদা এবং আলিয়া ভাট দুজনেই সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করেছেন। চলার পথে বীরা এবং মহাবীরের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমাটিতে। বীরা জানে মহাবীর তাকে অপহরণ করেছে তবুও সে এক ধরনের স্বাধীনতা অনুভব করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের মধ্যে মিল হয়নি। এটি বলিউডের ভিন্ন ধারার সিনেমাগুলোর একটি।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/মারুফ/শান্ত 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়