ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৮ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখবে বাংলাদেশ : আমু

মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৭ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৮ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখবে বাংলাদেশ  : আমু

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আগামী পাঁচ বছর শতকরা ৮ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে বাংলাদেশ ২০১৫ পরবর্তী টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

 

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এ পরিকল্পনার আওতায় ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে শতকরা ২০ ভাগ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি জিডিপিতে এখাতের অবদান শতকরা ২১ ভাগে উন্নীত করা হবে।

 

অস্ট্রিয়ায় অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি ও কর্মসূচির মূল ধারায় অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়ন কর্মসূচির প্রতিফলন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন। ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আজ এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন নেপালের শিল্পমন্ত্রী সোম প্রাসাদ পান্ডে এবং ইউনিডোর শিল্পনীতি বিষয়ক পরিচালক অগাস্টো লুইস এলকোরটা সিলভা। অন্যদের মধ্যে বুর্কিনাপাসোর শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিপ্পোলাইট ডা, আর্জেন্টিনার শিল্প, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়কমন্ত্রী ক্রিস্তিয়ান ব্রিটিয়েস্টিন, সার্কের মহাসচিব অর্জুন বি থাপা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গবেষণা বিভাগের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম মাহমুদ, সাউথ সেন্টারের আর্থিক ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সিনিয়র উপদেষ্টা ম্যানুয়েল মন্টেজ আলোচনায় অংশ নেন।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এলডিসিভূক্ত দেশগুলোতে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বহুপক্ষীয় অংশীদারিত্ব জোরদার করা প্রয়োজন। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক পণ্য ও সেবা আদান-প্রদান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শিল্পখাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পখাতে আগামী পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই নগরায়ন, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রতি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে তিনি জানান।

 

আমির হোসেন আমু বলেন, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) গৃহিত অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই শিল্প উন্নয়নের কৌশলকে বাংলাদেশ শিল্পখাত বিকাশের অন্যতম নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে।  এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ হালনাগাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্পনীতিতে ব্যাপকহারে কর্মসৃজন, শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষা এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিল্পখাতে প্রভূত অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ নভেম্বর ২০১৫/মামুন/দিলারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়