ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাম্পার ফলনেও হাসি নেই

আশরাফুল আলম লিটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫১, ২০ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাম্পার ফলনেও হাসি নেই

শিবালয় উপজেলার একটি খেত

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : বাম্পার ফলনেও হাসি নেই মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিদের মুখে। নায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম আর পুঁজি খাটানোর পর উৎপাদন খরচ উঠানোই দায় হয়ে পড়েছে কৃষকের। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা দালাল-ফরিয়া চক্রকে দুষলেও আড়তদাররা বলছেন ব্যাপক সংগ্রহ থাকায় দাম কমেছে মরিচের। 

 

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়াও ঘিওর ও দৌলতপুরের কিছু এলাকায় মরিচ চাষ হয়ে থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে এখানে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের চাইতে এ বছর ফলনও হয়েছে ভাল। তবে, ফলন ভাল হলেও দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ।

 

শিবালয়ের তাড়াইল গ্রামের মরিচ চাষি আরশেদ আলী খান জানান, জমি তৈরি, সার, চারা, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে মরিচ চাষে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও নায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। স্থানীয় আড়তগুলোতে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৬ টাকা দরে। যদিও খেত থেকে মরিচ তুলতে শ্রমিককেই দিতে হয় কেজিতে ৩ টাকা, সেই সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচও। লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই উঠছে না তাদের।

 

একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মরিচ চাষি ঝন্টু মিয়া জানান, বিঘাপ্রতি মরিচের উৎপাদন হয়েছে ৩৫ থেকে ৫০ মণ। বর্তমানে প্রতিমণ মরিচের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এক বিঘায় আবাদ করতে ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে মরিচের যে দাম তাতে লাভতো দূরে থাক উৎপাদন খরচই উঠছে না। এই অবস্থায় জেলার কৃষকদের মাথায় হাত।

 

বরঙ্গগাইল হাটের আড়তদার আনিস জানান, এ বছর মরিচের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে প্রচুর মরিচের আমদানী হওয়ায় এর দাম কমে গেছে। এ ছাড়াও ঢাকার বাজারে অন্য জেলার মরিচের ব্যাপক আমদানি থাকায় কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আলীমুজ্জামান মিয়া রাইজিংবিডিকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তবে উৎপাদন ভাল হলেও কৃষকরা তাদের নায্যদাম পাচ্ছেনা। জেলার মরিচ চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তবে অধিক উৎপাদন আর সেই সাথে সংঘবদ্ধ দালাল-ফরিয়া চক্রও এরজন দায়ী বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা ।

 

 

রাইজিংবিডি/মানিকগঞ্জ/২০ জুন ২০১৬/আশরাফুল আলম লিটন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়