ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিমানের ২৪৩ কোটি টাকার কর বকেয়া!

এম এ রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২৮ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিমানের ২৪৩ কোটি টাকার কর বকেয়া!

এম এ রহমান : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উৎসে কর ও মূল্যসংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) ২৪৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার রাজস্ব বকেয়া পড়েছে।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

সূত্র মতে, এনবিআরের দাবিনামা অনুযায়ী বেবিচকের কাছে উৎসে কর ও ভ্যাট বাবদ এনবিআরের রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ২৪৩ কোটি  ১৪ লাখ ৯৯ হাজার  ২৬১ টাকা। আর ওই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ে বেবিচকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই  আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকল মূসক কমিশনারকে এনবিআর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি বিমানের মূসক বকেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনবিআরে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা (উত্তর), যশোর, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের মূসক কমিশনাররা বেঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কমিশনাররা এনবিআরকে জানান,  বেবিচকের কাছে উৎসে কর ও মূসক বাবদ প্রায় ২৪৩ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা দাবিনামা জারি করা হয়েছে। শিগগিরই এ টাকা আদায় করা হবে। বৈঠকে বিভিন্ন খাতে বকেয়া পড়া ওই রাজস্ব দ্রুত আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এনবিআরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে এনবিআর সর্বদা তৎপর। বিশেষ করে বকেয়া রাজস্ব আদায়ে এনবিআর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বেবিচক থেকে বকেয়া ভ্যাট আদায়ে সংশ্লিষ্ট সকল কর অঞ্চলকে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

 

এদিকে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বেবিচকের সকল ধরনের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ ভ্যাট আদায় করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে এসআরও জারি করা হয়নি। এর ফলে সিদ্ধান্ত নিলেও বেবিচক এনবিআরের নির্ধারিত ভ্যাট আদায় করতে পারছে না।

 

উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশনসহ বিভিন্ন অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল কার্যক্রমের জন্য দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে ফি আদায় করে বেবিচক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শুরু থেকে এসব ফি‘র ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।
এর আগে বেবিচকের আদায়কৃত ফি থেকে ভ্যাট আদায়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন এনবিআরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে বেবিচকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের উপস্থিতিতেই এয়ারলাইনসগুলো থেকে অ্যারোনটিক্যাল মাশুলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

এয়ারলাইনসগুলো থেকে বেবিচকের আদায় করা অ্যারোনটিক্যাল বিভিন্ন ফি‘র মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং, পার্কিং, হাউজিং অব এয়ারক্রাফট, রুট নেভিগেশন, বোর্ডিং ব্রিজ ও এম্বারকেশন ফি। আর নন-অ্যারোনটিক্যাল মাশুলের মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরে কক্ষভাড়া, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন সংযোগ বিল ও লাইসেন্স ফি। দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল ফি আদায় করে বেবিচক। এ অর্থ দিয়েই বিমানবন্দর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুলাই ২০১৫/এম এ রহমান/সুমন মুস্তাফিজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়