ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিশ্ব এইডস দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

এনআর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ৩০ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব এইডস দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব এইডস দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সোমবার রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এইডস রোগের বিস্তার রোধে শিক্ষা, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক কুসংস্কার পরিহারে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। এইডস প্রতিরোধের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে সামাজিক অবহেলা বা বৈষম্যের শিকার না হন, তা আমাদের মানবিক ঔদার্য দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।’

 

বাণীতে রাষ্ট্রপতি এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু : নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ব সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার’ তুলে ধরে বলেন, এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। ইউএন-এইডস এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ প্রাণঘাতী রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্বে এইডস বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে, গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসা পদ্ধতিরও অগ্রগতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ রোগের ভয়াবহতা এখনো কমেনি।’

 

রাষ্ট্রপতি এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় অনেক কম। তারপরও এর প্রকোপ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে তার সরকার বদ্ধপরিকর। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও এনজিওদের যৌথ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চিকিৎসাসেবা ও সহযোগিতা প্রদানের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ওই সকল কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাতটি মেডিক্যাল কলেজসহ মোট ১২টি সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ এবং কাউন্সেলিং সেবাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী এইচআইভি আক্রান্তের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধ, এইচআইভি আক্রান্তে মৃত্যুহার হ্রাস, এমডিজি-৬ ও এসডিজি-৩ এর এইডস সম্পর্কিত টার্গেট অর্জনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে তার সরকার দাতাগোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ লক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সূত্র : বাসস

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ডিসেম্বর ২০১৫/এনআর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়